তুরস্কের আর একজন সেনা আক্রান্ত হলে যেকোনও স্থানেই সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর তুরস্ক হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুর্কি সামরিক বাহিনীর উত্তেজনার জেরে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে তিনি এই হুমকি দেন।
Advertisement
এরদোয়ান বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকেই সিরীয় সরকারি বাহিনীকে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ইদলিবের তুর্কি পর্যবেক্ষণ এলাকার বাইরে পাঠাতে তুরস্ক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেকোনও উপায়েই হোক না কেন আমরা এটি করবো। সেটি আকাশ কিংবা স্থল ব্যবহার করে হলেও।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চল ইদলিবে তুরস্কের ১২টি পর্যবেক্ষণ চৌকি রয়েছে। ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এসব চৌকি স্থাপন করে তুরস্ক। সেই সময় রাশিয়া-তুরস্কের এই চুক্তিতে সমর্থন জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত মাসে ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় তুরস্কের অন্তত ১৩ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর আঙ্কারা ব্যাপক সামরিক জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। ফলে ৯ বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার এরদোয়ান বলেন, ইদলিবে তুর্কি সৈন্যদের ওপর হামলার ঘটনায় সিরিয়া সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। আঙ্কারা বলছে, সৈন্যদের ওপর হামলার জবাব ইতোমধ্যে দিয়েছে তুরস্ক। সিরিয়ায় কিছু টার্গেট হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
রাশিয়ার সমর্থন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইদলিব এবং আলেপ্পোতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। এই সামরিক অভিযানের মুখে ইদলিব এবং আলেপ্পোতে মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রায় সাত লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইদলিব, আলেপ্পোর এই সহিংসতায় গত কয়েক সপ্তাহে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement