সুনামগঞ্জে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ছাদে নিয়ে পর্নো ছবি দেখানো এবং যৌন হেনস্তার অভিযোগে আটক প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন যৌন হয়রানির শিকার এক ছাত্রীর বাবা।
ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পালের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাইজবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীকে কিছুদিন ধরে নানা অজুহাতে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যেতেন প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন। সেখানে ছাত্রীদের মোবাইলে পর্নো ছবি দেখাতেন ওই শিক্ষক। পর্নো ছবি না দেখলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়াসহ নানা ভয়ভীতি দেখাতেন। নানা অজুহাতে ছাত্রীদের শরীরে হাত দিতেন তিনি।
Advertisement
মঙ্গলবার চার ছাত্রীর মধ্যে দুই ছাত্রীকে ছাদে নিয়ে পর্নো ছবি দেখানোর চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। অন্য দুই ছাত্রী বিষয়টি অভিভাবকদের জানান। পরে স্থানীয়রা বিদ্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল যৌন হয়রানির শিকার চার ছাত্রীর ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক একেএম সাফায়েত আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
মোসাইদ রাহাত/এএম/জেআইএম
Advertisement