করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনটি ১৮ মাসেই তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেয়েসুস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, এই ভাইরাসকে জনগণের জন্য এক নম্বর শত্রু হিসেবে দেখা উচিত।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিভিন্ন দেশকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে কমপক্ষে ৩০টি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। সেখানে এই ভাইরাস সর্বনাশা হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। নতুন এ ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ এখন থেকে কোভিড-১৯ নামেই পরিচিত হবে। ভাইরাসটির নামের CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ (রোগ) এবং 19 দিয়ে ২০১৯ সালকে নির্দেশ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একটি ভাইরাস যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বিশ্ব যদি এ বিষয়ে সজাগ না হয় এবং জনগণের এই এক নম্বর শত্রুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তবে আমি মনে করি না যে আমরা কিছু শিখতে পারব।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এখন পর্যন্ত চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০৭ জন। অপরদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১৩৮ জন। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। এই বিষয়ে দু'দিন বৈঠক হবে। এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়েও আলোচনা হবে।
তেদ্রোস বলেন, প্রথম ভ্যাকসিনটি ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হতে পারে। সুতরাং ভ্যাকসিন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এখন এমন সব কিছু করতে হবে যেন আমরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৯৯ ভাগই চীনের নাগরিক। বাকিরা অন্যান্য দেশের।
টিটিএন/এমএস
Advertisement