আন্তর্জাতিক

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে করোনাভাইরাসের বাধা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রামক এ ভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন, মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। শুধু তাদেরই নয়, করোনাভাইরাসের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিও। ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পর্বের বাণিজ্য চুক্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন আটলান্টিক কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে জানান, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য কেনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি প্রথম পর্বের চুক্তি চীনকে আরও বেশি খাদ্য আমদানির অনুমতি ও মার্কিন কৃষকদের জন্য এর বাজার উন্মুক্ত করে দেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব এর ওপর বড় প্রভাব ফেলবে, অন্তত চলতি বছরে ক্রয়ের ক্ষেত্রে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর থেকে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১ হাজার ১০৭ জন প্রাণ হারিয়ছেন, আক্রান্ত ৪৪ হাজারেও বেশি। ফলে এই সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে চীন সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে চীনকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান রবার্ট ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, এটা অসাধারণ প্রস্তাব হলেও সেটি এখনও গ্রহণ করেনি চীন।

প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিল করতে গত মাসে প্রথম পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চুক্তি অনুসারে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক অর্ধেক করবে।

ওয়াশিংটন ও বেইজিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম পর্যায়ের হলেও এই চুক্তির আওতায় দু’পক্ষই কৃষিপণ্য, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য কিনতে সম্মত হয়েছে। প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাস্বত্ব, কৃষি, আর্থিক সেবা, মুদ্রা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়সহ অনেক বিষয় থাকছে এ চুক্তিতে।

সূত্র: সিএনবিসি

Advertisement

কেএএ/এমএস