প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউিএইচও) প্রধান ডা. টেডরস আধানম। তিনি বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেন সবাই ভাইরাসটির নমুনা ভাগাভাগির মাধ্যমে ওষুধ কিংবা এর টিকা তৈরির জন্য গবেষণাকে ত্বরান্বিত করে।
Advertisement
চার শতাধিক গবেষক-বিজ্ঞানী ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেনেভায় আয়োজিত ওই বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ৯৯ শতাংশই চীনের। এটা দেশটির জন্য খুবই জরুরি একটি মুহূর্ত। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলোর জন্যও এ করোনাভাইরাস গুরুতর হুমকি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই বৈঠকে চীনের মূল ভূখণ্ড ছাড়াও তাইওয়ানের অনেক বিশেষজ্ঞ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে। সোমবার ১০৮ জন নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন এক হাজার ১৬ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজারেরও বেশি।
দরিদ্র, বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে ডা. টেদ্রোস আধানম বলেন, অর্থ আর ক্ষমতার মাধ্যমে চীনের এ ভাইরাস মোকাবিলার যে সক্ষমতা আছে এসব দেশের তা নেই। যদি এসব দেশে এ ভাইরাসের বিস্তার ঘটে তাহলে তা মোকাবিলা করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
Advertisement
কীভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় চার শতাধিক বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে দুদিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। সেখানে দেয়া বক্তব্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘মহামারি এ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করে মানুষের প্রাণ বাঁচানোই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় করণীয়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আশা প্রকাশ করেছেন, এ সম্মেলন থেকেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার জন্য সর্বসম্মত একটি পথনির্দেশনা বের হয়ে আসবে। এজন্য তিনি সংহতি আর সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, এখনো এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে এ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
এসএ/পিআর
Advertisement