প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ে শতাধিক কর্মকর্তাকে অপসারণ বা পদচ্যুত করেছে চীন সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের সেক্রেটারি ও এর প্রধান। এখন পর্যন্ত দায়িত্ব হারানো কর্মকর্তাদের মধ্যে তারাই সর্বোচ্চ পদাধিকারী।
Advertisement
এছাড়া পদ হারিয়েছেন রেড ক্রসের স্থানীয় উপ-পরিচালক ঝ্যাং কিনও। তার বিরুদ্ধে অনুদান হস্তান্তর কাজে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন থেকে হুবেইয়ের অপসারিত দুই শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-পরিচালক ওয়াং হেনশেং।
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার একদিনে আরও শতাধিক মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬ জন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।
মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত দেশটির মূল ভূখণ্ডে অন্তত ২ হাজার ৪৭৮ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই রয়েছেন ২ হাজার ৯৭ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জন। সোমবার মৃতদের মধ্যে ১০৩ জনই মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের এবং অন্তত ৬৭ জন সেখানকার রাজধানী শহর উহানের।
Advertisement
গত কয়েকদিন থেকেই ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে চীন সরকার। করোনাভাইরাসের বিষয়ে আগেই সতর্ক করা এক চিকিৎসকের মৃত্যু জনগণের ক্ষোভ আরও উসকে দিয়েছে। এসব বিতর্ক থামাতে সংশ্লিষ্ট শতাধিক কর্মকর্তাকে অপসারণ ও সতর্ক করা হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
তবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ মানেই পুরোপুরি চাকরি হারানো নয়। অনেক ক্ষেত্রে পদাবনতি হতে পারে। আবার তারা শুধু পদ হারাচ্ছেন তাও নয়, এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। যেমন- রেড ক্রসের উপ-প্রধানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের পাশাপাশি তাকে গুরুতর প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে দল থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে মাস্ক বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে উহান পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধানকে অপসারণ করে বেইজিং। তাকেও দলীয়ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের উৎস হুবেই প্রদেশে উহানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হুয়াংগ্যাংয়ে। এ শহরের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকেও অপসারণ করা হয়েছে।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/জেআইএম