জাতীয়

থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্রিনিং ৫৫ ইঞ্চি মনিটরে দেখতে পাবেন যাত্রীরা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত বিভিন্ন ফ্লাইটের যাত্রীরা এখন টিভি স্ক্রিনে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষার ফলাফল নিজেরাই দেখতে পারবেন। এতদিন ফলাফল শুধুমাত্র বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেখতে পারতেন।

Advertisement

প্রত্যেক যাত্রী যেন থার্মাল ও হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানারে (জ্বরমাপার যন্ত্র) পরীক্ষার ফলাফল সচক্ষে দেখতে পারেন সেজন্য ৫৫ ইঞ্চি মনিটর বসানো হচ্ছে। ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর হলে যাত্রীর চেহারায় (বাইরের অংশ) লাল বাতি ও জ্বর না থাকলে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। এছাড়া আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য ডেস্কে এসে দ্রুত স্ক্রিনিং সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে অডিও বার্তাও প্রচার করা হবে। বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আগত সকল ফ্লাইটের যাত্রীদেরকে থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্রিনিং করার কারণে যাত্রীজট তৈরি হচ্ছে। ফ্লা্ইট থেকে নামার পর স্ক্রিনিং ও ইমিগ্রেশন শেষ করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। দু-তিনটি ফ্লাইট একযোগে আসলেই শতশত যাত্রীর উপস্থিতিতে ইমিগ্রেশন এলাকা হাটবাজারে পরিণত হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তারা সুস্থ থাকলেও স্ক্রিনিং ও ইমিগ্রেশেন অহেতুক বিলম্ব ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে সকল ফ্লাইটের যাত্রীদের স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করতে হচ্ছে বলে সময় বেশি লাগছে। শতকরা ৯৮ শতাংশ যাত্রী নরমাল জোন দিয়ে স্ক্যানিং করায় সময় বেশি লাগছে। এতে যাত্রীদের অনেকে অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের স্বার্থ নাকি যাত্রীদের স্বার্থ বড়? শতশত যাত্রীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সময় বেশি লাগছে বলে স্বীকার করে দেশের স্বার্থে সময় বেশি লাগলেও স্ক্রিনিংয়ে সহায়তা করার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানান তিনি।

Advertisement

ডা. শাহরিয়ার বলেন, এতদিন থার্মাল স্ক্যানারে কী ফলাফল আসল তা শুধুমাত্র চিকিৎসক ও নার্সরা দেখতে পারতেন। যাত্রীরা যেন নিজেদের স্ক্রিনিং ফলাফল নিজেরাই দেখতে পারেন সেজন্য থার্মাল স্ক্যানারের পাশে ৫৫ ইঞ্চি মনিটরে ফলাফল দেখানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে করে যাত্রীরা নিরাপদ কি-না তা নিজেরাই জানতে পারবেন।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৩২ হাজার ৩৩৭ জনের স্ক্রিনিং হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর ধরা পড়লেও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাব টেস্টে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

Advertisement