স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ হাজার ২৪৫ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর মেডিকেল স্ক্রিনিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২ হাজার ৬৩০ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬ হাজার ১৬২ জন, নৌ-বন্দরে ২৪০ জন এবং সমুদ্র বন্দরসমূহে ৬ হাজার ২২৪ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্ক্রিনিং সম্পন্ন করা হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত স্বাস্থ্য সচেতনতায় করণীয় শীর্ষক বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
করোনাভাইরাস সতর্কতায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের বন্দরসমূহে বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীর স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি। রংপুরে করোনাভাইরাস সন্দেহে সদ্য চীনফেরত এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Advertisement
এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় সাড়ে ৮শ’ মানুষ এ ভাইরাসে ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বর্তমানে ভাইরাসটি চীনসহ ২৫টি দেশে প্রবেশ করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, এনএসএস ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/আরএস/জেআইএম
Advertisement