জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও ৬০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়োকোহামা বন্দরে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ওই প্রমোদরীর যাত্রীরা।
Advertisement
নতুন করে আরও যাত্রীদের এই ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওই প্রমোদতরীর প্রায় ১৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রমোদতরীটি বন্দরে আসার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই এটি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। দু'সপ্তাহ পর্যন্ত এর যাত্রীদের কোয়ারেন্টানে থাকতে হবে।
এখনও যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। ওই প্রমোদতরীতে তিন হাজার ৭শোর বেশি যাত্রী এবং ক্রু সদস্য ছিল। এটি গত সপ্তাহে জাপানের উপকূলে পৌঁছায়। এদিকে, জাপানের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত আরও ২৬ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার পর্যন্ত ওই প্রমোদতরী থেকে কয়েক ডজন যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন হাজার ৬শ জন এখনও ওই প্রমোদতরীতেই আছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। ওই প্রমোদতরীর সবাইকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে কি-না সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
Advertisement
অপরদিকে, প্রমোদতরীতে থাকা যাত্রীদের নিজ নিজ কেবিনেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এতে করে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে। মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ায় এই ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছেই। যত সময় গড়াচ্ছে ততই এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এদিকে, রোববার চীনে নভেল করোনাভাইরাসে আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
এ নিয়ে দেশটির মূল ভূখণ্ডেই মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৮ জন। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছেন আরও দুইজন, তারাও চীনা নাগরিক। উহানে এখন পর্যন্ত একমাত্র বিদেশি হিসেবে এক জাপানি নাগরিক মারা গেছেন। অপরিদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরেক মার্কিনি।
টিটিএন/পিআর
Advertisement