জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে র্যাগ দেয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের তিন ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
বহিষ্কৃত তিন ছাত্রী হলেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সামাজবিজ্ঞান বিভাগের তোয়াবা নুশরাত মীম, শায়য়া তাসনিম আনিকা এবং চারুকলা বিভাগের মৌমিতা পারভীন।
রোববার সন্ধ্যায় জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে তিন ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, র্যাগিংয়ের মতো বর্বরতা যারা করবে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হবে।
Advertisement
এদিকে বেলা ১০টায় নবীন দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে র্যাগিংয়ের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নিষিদ্ধকরণ দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ব্যানারে জয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে সংহতি জানান সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আসিফ ইকবাল, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের প্রধান আল জাবির, সঞ্জয় কুমার মুখার্জি ও মোহাম্মদ মিলনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রীকে র্যাগ দেয়া হয়। মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে দুজনকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্য বিশিষ্ট একটি অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. শেখ সুজন আলীকে আহ্বায়ক এবং প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে সদস্য সচিব করে অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মাসুদ চৌধুরী ও দোলন চাঁপা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়াকে সদস্য করা হয়।
Advertisement
এএম/জেআইএম