আন্তর্জাতিক

ভারত থেকেই শুরু হয়েছিল মহাপ্রলয়!

আজ থেকে প্রায় ছয় কোটি ষাট লাখ বছর আগেকার কথা। সেটা ছিল ‘ক্রেটাসিয়াস’ যুগ। সে সময়টিতে যে মহাপ্রলয় ঘটেছিল তা এখনকার ভারতীয় ভূখণ্ড থেকেই শুরু হয়েছিল! আরো ঠিকঠাক বলতে হলে, এখন যাকে ‘দাক্ষিণাত্য’ বলি, সেই জায়গাতেই!আমেরিকার বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ পল রেনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এ তথ্য রেবিয়ে এসেছে। গবেষণাপত্রটি খ্যাতনামা বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে।গবেষণাপত্র অনুযায়ী, সেই মহাপ্রলয়ে বিলুপ্ত হয়েছিল পৃথিবীর অন্তত ৭০ শতাংশ ডাইনোসর। শাকাহারী বা ‘হার্বিভোরাস’ তো বটেই, এমনকী, লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর মাংসাশী বা ‘কার্নিভোরাস’ ডাইনোসররাও।সেই যুগে যখন একের পর এক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরনো লাভাস্রোতে প্রায় প্রতি মুহূর্তেই ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল সাবেক ‘গন্ডোয়ানা ল্যান্ডে’র সেই অংশটি, এখন যাকে আমরা ভারতীয় ভূখণ্ড বলে জানি। গড়ে উঠছিল দাক্ষিণাত্য এলাকা। তখনকার সেই দাক্ষিণাত্যে অবশ্য জুড়ে ছিল এখনকার অস্ট্রেলিয়া মহাদেশও।কোনো বিশাল ধূমকেতু বা বড় কোনো নক্ষত্র পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ায় সেই সময় প্রচুর ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিও জেগে উঠেছিল ওই ভারতীয় ভূখণ্ডে। আর তাদের জ্বালামুখ থেকে গলগল করে বেরিয়ে এসেছিল আরো বেশি গনগনে লাভাস্রোত।সেই লাভাস্রোতেই কার্যত, ‘সলিলসমাধি’ ঘটেছিল এই বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ ডাইনোসরের। হয়েছিল ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে নয় থেকে এগারোর মধ্যে।এতোদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, সুবিশাল পাহাড়ের মতো কোনো মহাজাগতিক বস্তু আমাদের গ্রহের উপর প্রচণ্ড জোরে আছড়ে পড়ায় ‘ক্রেটাসিয়াস’ যুগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সব কিছু।বিলুপ্ত হয়েছিল ডাইনোসরের মতো অতিকায় প্রাণীও। আর, সেটি পড়েছিল মেক্সিকোর ইউকাতান পেনিনসুলায়। সেখানে এখনো একটি সুবিশাল ও সুগভীর গহ্বর রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান ছিল, অতো বড় মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ার ফলেই ওই গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছিল।বিএ

Advertisement