বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী এলাকায় প্রশিক্ষণবিহীন ও অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভিযোগে দু’টি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবকে সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।একই সঙ্গে আসপিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মালিক আনোয়ার হোসেনকে সাতদিনে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশের জন্য মৌরী ক্লিনিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এদিকে, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে উপজেলার ২০-২২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা-ঢাকা দেন।মঙ্গলবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) তানিয়া আফরোজের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।সিলগালা করা ল্যাব দু’টি হচ্ছে শাপলা প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও আসপিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাব। দণ্ডিত আসপিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মালিক আনোয়ার হোসেন আশোকাঠী এলাকার খালেক হাওলাদারের ছেলে।গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, প্রশিক্ষণবিহীন ও অদক্ষ টেকনলজিস্ট দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২/২৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে আসছে।এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত আশোকাঠী ও শাওড়া এলাকার দু’টি ল্যাব সিলগালা ও একটির মালিককে সাতদিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশের জন্য মৌরী ক্লিনিক থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement