করোনাভাইরাসের সতর্কতায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজে খোলা হয়েছিল আইসোলেশন ইউনিট। ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ এ ইউনিটে কাউকে ভর্তি করা হয়নি।
Advertisement
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কারণে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরের হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়। হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালুর কথা বলা হয় নির্দেশনায়।
নির্দেশনা অনুযায়ী ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচতলায় একিউট মেডিসিন বিভাগের একটি কক্ষকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ইউনিটে মোট ১০টি বেড রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই এ ভাইরাসের বিষয়ে অবগত। করোনাভাইরাস মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি এরই মধ্যে নিয়েছি। আমাদের আইসোলেশন ইউনিটে সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকরা থাকবেন। আমরা রোস্টার তৈরি করছি। রোস্টার অনুযায়ী চিকিৎসকরা দায়িত্বপালন করবেন।’
Advertisement
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামে করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এআর/এএইচ/এমকেএইচ