করোনাভাইরাসে সতর্কতা অবলস্বন করছে সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ। ভারতফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মাক্সসহ সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে পুলিশ। তবে ভারতীয় সীমান্তে এমন কোনো সতর্কতামূলক কার্যক্রম নেই বলে জানিয়েছেন ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
Advertisement
ভারতের উত্তর চব্বিশপরগোনার হাসনাবাদ জেলার ঘনি গ্রামের হেলা মন্ডলের ছেলে মোমিন মন্ডল ভারত থেকে সাতক্ষীরায় এসেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। শনিবার বেলা ১১টায় ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। একই সময়ে বাংলাদেশে আসেন ভারতের পুনে এলাকার আদিত্য ব্রিলা মেমোরিয়াল হাসপাতালের এ জি এম চিকিৎসক রানা ভট্টাচার্য।
ভারতীয় বাসিন্দা মোমিন মন্ডল জানান, সাতক্ষীরা শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তে করোনা ভাইরাসের কোনো সতর্কতামূলক কার্যক্রম চোঁখে পড়েনি। তবে বাংলাদেশে ভোমরা সীমান্তে সতর্কতামূলক কার্যক্রম চলছে। টেমপারেসার পরীক্ষা করা, সতর্কতামূলক লিফলেট ও মাক্স দেয়া হচ্ছে।
ভারতের পুনে এলাকার আদিত্য ব্রিলা মেমোরিয়াল হাসপাতালের এ জি এম চিকিৎসক রানা ভট্টাচার্য করোনা আতঙ্ক উড়িয়ে দিয়ে জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে এত সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। ভারতে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যাতে অন্যদের মাঝে ছড়াতে না পারে। রিমোট এরিয়া বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্তে করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ যে সতর্কতামূলক কার্যক্রম করা হচ্ছে, সেটি দেখে ভালো লেগেছে। তবে প্রয়োজন নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো এয়ারপোর্টগুলোতেই যথেষ্ট।
Advertisement
পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে ভোমরা বন্দর ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কাজে নিয়োজিত সাতক্ষীরা সদরের সেনেটারি ইন্সপেক্টর আবুল কাশেম জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য যে স্কানার প্রয়োজন, সেটি এখানে নেই। আমার এখানে একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার দেয়া হয়েছে, যা দিয়ে আমরা তাপমাত্রা পরীক্ষা করছি। চোঁখের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকলে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমান পর্যন্ত এমন কাউকে আমরা পাইনি।
করোনাভাইরাস সতর্কতায় ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে উপ-পরিদর্শক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, প্রতিদিন ৭০০-৮০০ পাসপোর্টধারী যাত্রী ভোমরা বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করছি, মাক্স বিতরণ করছি।
করোনাভাইরাসের বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়েত বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ- যেমন : জ্বর, সর্দি, কাশি পাওয়া গেলে তাকে আমরা পর্যাবেক্ষণে রাখব। তবে এখনো পর্যন্ত এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, পরীক্ষার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। স্ক্যানার মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/জেডএ/জেআইএম