একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক নেত্রকোনার ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২০তম সাক্ষী আব্দুল খালেক আকন্দ (৫৩) তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়াম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নের্তৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি পেশ করেন তিনি। জবানবন্দির পেশ করার পর মামলার কার্যক্রম আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।সাক্ষী তার জবানবন্দিতে বলেন, একাত্তরের ১৫ নভেম্বর রাজাকাররা বিরামপুর বাজারে আক্রমণ করে তিন জনকে আটক করে। পরে ওই তিন জনের মধ্যে রামচন্দ্র লেবুকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় আসামি ননী ও তাহের। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে আরো বলেন, আমার নাম আব্দুল খালেক আকন্দ। একাত্তরে আমার বয়স ছিলো ১০/১১ বছর। একাত্তরের ১৫ নভেম্বর রাজাকাররা বিরামপুর বাজার আক্রমণ করে। আমার ভাই আব্দুল মালেক শান্তর ওই বাজারে একটি ওষুধের দোকান ছিলো। রামচন্দ্র লেবু নামে এক হিন্দু লোক সেখানে কাজ করতো। রাজাকাররা আমার ভাই আব্দুল মালেক শান্ত, রামচন্দ্র লেবুকে আটক করে। ওই দিনই পাশের টেইলার্সের দোকান থেকে বদিউজ্জামান মুক্তা নামে আরো একজনকে আটক করে। পাশের বাড়ি মিজানুর রহমান নামে একজনকেও আটক করে। এবং তাদেরকে বেঁধে রখে। পরে রাজাকাররা আটককৃতদের লক্ষীগঞ্জ ফেরিঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে রামচন্দ্র লেবুকে হিন্দু জেনে রাজাকার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহের তাকে গুলি করে হত্যা করে। এবং লাশ নদীতে ফেলে দেয়। আমার বাবা হাজী ফয়েজ উদ্দিন ঝোপের আড়াল থেকে এ হত্যাকাণ্ড দেখেন। পরে আমাদেরকে বলেন। এসময় প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি সাক্ষীর জবানবন্দী গহণে ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করেন। এর আগে এই মামলায় আরো ১৯ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদেরকে জেরার কার্যক্রম শেষ করেন।এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement