ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার আব্দুল মোনেম ওয়ার্কশ লিমিটেড নামে একটি ওয়ার্কশপে ডাকাতির দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ডাকাত জামাল ও শাহআলম। মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ সিদ্দিকীর আদালত গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাত খালেক ও বিল্লালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।বন্দর কামতাল পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে আবদুল মোনেম ওয়ার্কশ লিমিটেড নামে একটি ওয়ার্কশপে হানা দেয় ১৫-২০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত। ডাকাতরা ওয়ার্কশপের তিন দাড়োয়ানকে মারধর করে তাদের পরনের পোশাক খুলে নেয়। এরপর তিন দারোয়ানকে বেঁধে রেখে দাড়োয়ানদের পোশাক পরে গেট পাহারা দেয় তিন ডাকাত। অপর ডাকাতরা ওয়ার্কশপের ভেতরে প্রবেশ করে লুটপাটে অংশ নেয়। এ সময় কামতাল তদন্তকেন্দ্রের একদল টহল পুলিশ ওইদিক দিয়ে যাচ্ছিল। তারা প্রতিষ্ঠানটি ঠিক মতো চলছে কিনা জানতে চাইলে দারোয়ানের ছদ্মবেশী তিন ডাকাত ঠিকমতো চলছে বলে উত্তর দেয়। পরে ডাকাতদল ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। ওই ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত ৪ অক্টোবর ফতুল্লার পুলিশ লাইনের লোহার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেনের ভাঙ্গারী দোকান থেকে লুন্ঠিত প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় আরো ৪ ডাকাত সদস্যকে। শাহাদাৎ হোসেন/এমএএস/আরআইপি
Advertisement