স্বাস্থ্য

উত্তম কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেবা পদক’ পাবেন নার্সরা

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের অধীন বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সদের উত্তম কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাস্থ্যসেবা পদক প্রদান করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জন নার্সকে (স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ) পদক ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। আগামী ৫ থেকে ১২ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

Advertisement

এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (নার্সিং সেবা-২ অধিশাখা ) ‘সেবা পদক নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

যে তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে সেগুলো হলো : ১. সেবা তত্ত্বাবধায়ক/উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক/ডিস্ট্রিক্ট পাবলিক হেলথ নার্স/সহকারী পরিচালক ২. নার্সিং সুপারভাইজার ৩. সিনিয়র স্টাফ নার্স/স্টাফ নার্স/সরকারি নার্স ও মিডওয়াইফ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে : স্থানীয় নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত নার্সিং কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নার্সিং কর্মকর্তা নির্বাচন করা হবে। জেলা কমিটি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কমিটি, বিশেষায়িত হাসপাতাল কমিটি, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদফতর কমিটি এবং সর্বশেষ চূড়ান্ত নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হবে।

Advertisement

পুরস্কারের জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে :

প্রার্থীদের মোট চাকরিকাল পাঁচ বছর হতে হবে। কোনো প্রার্থীকে দ্বিতীয়বার পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা যাবে না। একবার পুরস্কার পাওয়ার পর পরবর্তী পাঁচ বছর পুরস্কার পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না এবং চাকরিজীবনে দুইবারের বেশি পুরস্কার পাবেন না।

নেশা ও মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক সকল প্রকার রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ থাকতে হবে।

কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভাগীয়/ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন বা চলমান থাকলে তাকে পুরস্কার প্রদানের জন্য বিবেচনা করা যাবে না।

Advertisement

মূল্যায়নে কোনো প্রার্থীর মোট নম্বর ৮০ হলে তিনি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না। মূল্যায়নের পর একাধিক প্রার্থী একই নম্বর পেলে লটারির ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

এমইউ/এসএইচএস/জেআইএম