সর্বত্রই বাধা। স্বাধীনতার পর থেকেই অবিশ্বাস আর সন্দেহের আবর্তে দেশের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। রাজনীতির বিশ্বাসঘাতকতায় বলি হতে হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। রাজনীতিতে সেই অবিশ্বাস, অন্ধকারের ঘোর আজও কাটেনি। ঘরে-বাইরে শত্রুর ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতা। তবুও রাজনীতির অমন অন্ধকার, অবিশ্বাস পায়ে মাড়িয়েই পথ চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধী পক্ষের সমালোচনা, বিরোধিতা কোনো কিছুই তার পথ রুদ্ধ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে হাঁটছেন বঙ্গবন্ধুর-ই দেখানো পথে। সাহসী নেতৃত্ব আর পাহাড়সম মনোবল নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের এক নতুন নাম ‘বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ছয় বছর পর ১৭ মে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। একই বছর তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশে ফেরার পর থেকেই নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করতে হয় তাকে। দুই সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের রোষানলেও পড়েন বহুবার। এরপর বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। রাজনীতির ময়দানে গত তিন দশকে শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার হামলা চালানো হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এসব হামলায় শেখ হাসিনা ভাগ্যগুণে বেঁচে গেলেও অসংখ্য নেতাকর্মীর হতাহতের ঘটনা ঘটে। শত্রুপক্ষের পৈশাচিক এহেন বর্বরতা তবুও দমাতে পারেনি শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে। বন্ধুর পথে হেঁটেই জীবনস্বাদ উপভোগ করছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া।শুরু ১৯৯৯ সালে। ওই বছর শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি লাভ করে। একই বছর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছর ক্ষুধা দূরীকরণে এফএ থেকে সেরেস পদক অর্জন করেন তিনি। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসী অবমদানের জন্য ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকন ওমেনস কলেজ ‘পার্ল এস বাক’ পদক লাভ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ব্রাসেলসের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘Doctor Honorius Causa’ গ্রহণ করেন। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ হাসিনাকে ‘Doctor of Humane Letters’ পদক প্রদান করা হয়। শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য ২০০৫ সালে রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি। ২০১০ সালে এমডিজি অর্জনের প্রেক্ষিতে অ্যাওয়ার্ড পান শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অবদানের জন্য একই বছর সেন্ট পিটাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছরই ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯ এ ভূষিত হন তিনি।ইংল্যান্ডের হাউস অব কমান্সের স্পিকার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবদান রাখার জন্য ২০১১ সালে Global Diversity Award লাভ করেন। স্বাস্থ্যখাতে অবদানের জন্য একই বছর South South Award 2011: Digital Development Health পুরস্কার লাভ করেন।জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দারিদ্র্যতা এবং অপুষ্টি দূরীকরণে অবদানের জন্য ২০১৩ সালে ‘Diploma Award’ পদক লাভ করেন। নারী-শিশু শিক্ষা ও উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৪ সালে ‘শান্তিবৃক্ষ’ উপাধি লাভ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ২০১৫ সালে শেখ হাসিনাকে ITU (International Telecom Union ) Award প্রদান করা হয়। এ বছরই WIP ( Women in Parliament ) Global Award লাভ করেন। সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পরিবেশ বিষয়ক পদক ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ এবং তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আইসিটি পদক লাভ করেন শেখ হাসিনা। এএসএস/একে/আরআইপি/বিএ
Advertisement