অমর একুশে বইমেলায় এসেছে শ্রোতাপ্রিয় গীতিকার ও জনপ্রিয় অভিনেতা মারজুক রাসেলের কবিতার বই। ১৫ বছর পর বই নিয়ে এসেছেন তিনি। বইয়ের নাম ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’।
Advertisement
বায়ান্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হওয়া এই বই এরই মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বইটি। মারজুকের ভক্তরা উৎসাহ নিয়ে বই কিনতে আসছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফের জন্য।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন মারজুকের বই কিনতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেল। সবাই স্টলের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন লেখকের।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে বইমেলায় প্রবেশ করেন মারজুক রাসেল। এ খবর শুনতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভক্তরা ভিড় জমান বায়ান্ন’র স্টলের চারপাশে। দীর্ঘলাইন ধরে বই কেনেন তারা। এ সময় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকে মারজুক অভিনীত পাশা চরিত্রের সংলাপ ‘এএএএএএএএ’ চিৎকারে মুখরিত হয়ে উঠে মেলার প্রাঙ্গণ।
Advertisement
১ ঘণ্টার মধ্যে স্টলে থাকা তার কবিতার বই শেষ হয়ে যায় বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন বায়ান্ন প্রকাশনীর নুরে আলম।
তিনি বলেন, ‘মারজুক ভাইয়ের বই প্রকাশের আগে থেকেই প্রচুর চাহিদা ছিল। মেলায় যেদিন মারজুক ভাই আসেন, সেদিন আমাদের ঝামেলা হয়ে যায়। উনার ভক্তদের চাপে আশপাশের স্টলগুলো ঢাকা পড়ে যায়। আজ উনি মেলায় আসার ১ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের স্টলে থাকা সব বই শেষ হয়ে যায়। কাল থেকে আবারও বইটি পাওয়া যাবে।’
বইটি মারজুক রাসেলের ভাষায় ‘গ-নির্বাচিত কবিতার বই’। এর প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
প্রসঙ্গত, মারজুক রাসেলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ’। এরপর ‘চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো’, ‘বাঈজি বাড়ি রোড’ এবং ‘ছোট্ট কোথায় টেনিস বল’ নামে তার তিনটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়।
Advertisement
এলএ/জেডএ/পিআর