তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নন। তার ব্যাট থেকে ভালো একটি ইনিংস আশাও করেন না সমর্থকরা। আবু জায়েদ রাহি তো আসলে দলে বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে, লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করতে হবে বলে করা!
Advertisement
তবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোতে অনেক সময় লোয়ার অর্ডারেও কাউকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা যায়। বাংলাদেশের বোলারদের বেশিরভাগেরই এখনও তেমন ব্যাটিং সামর্থ্য হয়নি।
তাই বলে বোলাররা উইকেটে এসে শুধু ‘হাজিরা’ দিয়ে যাবেন, এমনটাও নিশ্চয়ই আশা করেন না কেউ। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হয়ে তাইজুল ইসলাম কি দারুণ ব্যাটিং করলেন আজ (শুক্রবার)।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস যে দুইশ পেরিয়েছে তাতে অবদান আছে ২৪ রান করা তাইজুলেরও। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ২৩ ওভারের মতো কাটিয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি, যোগ করেন ৫৩ রান।
Advertisement
তাইজুল আট নম্বরে নেমে যদি এমন কিছু করতে পারেন, দশ নম্বরে নামা আবুু জায়েদ রাহি কি ৫টি রানও করতে পারবেন না! হ্যাঁ, সেটি নাও হতে পারে। ভালো ব্যাটসম্যানরাও অনেক সময় শূন্যতে আউট হয়ে যান। রাহি শুন্য করে সাজঘরে ফিরলেও সেটি নিয়ে কিছু বলার উপায় নেই। কিন্তু যেভাবে আউট হলেন, এই লেভেলের ক্রিকেটে কেউ কি এমন ভুল করে!
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন তখন সবে আউট হয়েছেন। ২৩৩ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮২তম ওভারের ঘটনা। মিঠুন আউট হওয়ার পর নাসিম শাহর ৪টি ডেলিভারি কাটিয়ে দেন এবাদত হোসেন।
পরের ওভারে স্ট্রাইকে আবু জায়েদ রাহি। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম চারটি বল কাটিয়ে দিয়েছিলেন রাহিও। কিন্তু পঞ্চম বলে এসে দৃষ্টিকটু এক কাণ্ড ঘটালেন। লেহ্ন বলটা ব্যাটে লেগে লেগ সাইডে গেলে এক রানের জন্য এবাদতকে ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবাদত ‘না’ বলে দেন।
ক্রিজ থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসে আবারও ফেরত যান রাহি। কিন্তু ক্রিজের মধ্যে পৌঁছেও দাগটা যেন চোখেই পড়েনি তার, ব্যাটটা দাগের বাইরে রেখেই দাঁড়িয়ে থাকেন। আর বল ধরে সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন মোহাম্মদ আব্বাস। রাহির যতক্ষণে খেয়াল হয়েছে, ততক্ষণে তিনি আউট হয়ে গেছেন। বোকার মতো সাজঘরে ফিরেছেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানেই।
Advertisement
এমএমআর/পিআর