হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে চলে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের এমবিএ’র ছাত্র সৈকত। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়।
সৈকতের সহপাঠী ও রুমমেট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে সৈকতের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। একপর্যায়ে অবস্থা বেশি খারাপ হলে তিনি রুমমেটদের জানান। রুমমেটরা তাকে সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানেই কর্তৃব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈকতের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. রিয়াজুর রহমান চৌধুরী, বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল বাছির, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সৈকতের বড় ভাই মুহাম্মদ সোহেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
বিজয় একাত্তর হলের ইমাম মো. আব্দুর রহমান জানাজার ইমামতি করেন।
জানাজা পূর্ববর্তী বক্তৃতায় সৈকতের বড় ভাই মুহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমার ছোট ভাই অত্যন্ত অমায়িক, সদালাপী, সদা হাসৌজ্জ্বল ব্যক্তি ছিল। সে সবসময় সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। আমি আর সৈকত একসঙ্গে থাকতাম, পড়াশোনা ও খেলাধুলা করতাম। কাউকে যদি কোনো ধরনের কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে আপনারা আমার ছোট ভাইকে ক্ষমা করে দেবেন।’
সৈকতের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করার আহ্বান জানান বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট আব্দুল বাছির।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এসআর/পিআর
Advertisement