করোনাভাইরাস বিশ্বের ৫২টিরও বেশি দেশে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রকোপে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভারতের হীরা ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
জানা গেছে, রফতানির দিক থেকে গুজরাটের সুরাতের হীরার অন্যতম বড় গন্তব্যস্থল হংকং। করোনাভাইরাসের কারণে হংকংয়ে ইতিমধ্যে মার্চ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের দাবি, এ দুই মাসে তাদের আট হাজার কোটি টাকার রফতানি ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে জরুরি অবস্থার সময় বাড়লে ক্ষতির পরিমাণও আরও বাড়বে। যার প্রভাব পড়তে পারে ভারতের গয়না এবং হীরার দামে।
উল্লেখ্য, ভারতের হীরা শিল্প পুরাটায় সুরাত নির্ভর। কারণ, দেশে আমদানি হওয়া না-কাটা হীরার ৯৯ শতাংশই এখানে কাটা এবং পালিশ করা হয়।
শুধু হংকংয়ে হীরা রফতানি বন্ধের জেরেই নয়, আগামী মাসে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক হীরা প্রদর্শনী বন্ধ হওয়া সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সুরাতের ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
সুরাতের অন্যতম বড় হীরা ব্যবসায়ী এবং বাজার বিশেষজ্ঞ প্রবীণ নানাবতী জানান, ‘সুরাতের হীরা বিশ্বের একাধিক দেশে রফতানির প্রধান গেটওয়ে বলা চলে হংকং। এখন সেখানে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় পুরা প্রক্রিয়াটি বন্ধ রয়েছে। ফলে সুরাতের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। এ পরিস্থিতির করণে ওই প্রদর্শনী বন্ধ হওয়ার উপক্রম।’ রফতানি করা হীরা ছাড়াও ওই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ হীরা বিক্রি করে সুরাতের ব্যবসায়ীরা। ওই প্রদর্শনীতেই একাধিক দেশের সংস্থা যে অর্ডার দেয় তার উপর ভিত্তি করে সুরাতের ব্যবসায়ীদের গোটা বছরের হীরা প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলে প্রদর্শনীর ব্যবসা অনেকাংশে ঠিক করে দেয় সুরাতের হীরা ব্যবসায়ীদের টার্নওভার। এখন প্রদর্শনী বন্ধ হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে সুরাতের ব্যবসায়ীদের। যার পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হংকং প্রশাসন জানিয়েছে, চীন থেকে আসা নতুন সংক্রামিত ব্যক্তি ছাড়াও দেশের মধ্যেই স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পেয়েছেন হংকং। যার প্রেক্ষিতে সুরাতের হীরা ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ আরও ঘোলাটে হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ/এমএস
Advertisement