একটি বাড়ির প্রায় সব সদস্যই গৃহিণীর উপর নির্ভরশীল থাকেন। পুরো বাড়ির সবকিছু সুন্দরভাবে সামলে নেয়ার দায়িত্বটা যে গৃহিণীরই। প্রত্যেকের তার নিজস্ব কাজের একটি রুটিন থাকে। জীবন যাপনের ধরন, চাহিদা বুঝে তৈরি হয় সেই রুটিন। আপনি যদি একজন গৃহিণী হন, তবে নিশ্চয়ই আপনার কাজের নিজস্ব একটি রুটিন রয়েছে। কারও রুটিন হুবহু কারও সঙ্গে মিলবে না এটাই স্বাভাবিক। তবু একটু পরিকল্পনা করে গুছিয়ে কাজ করলে আপনার কাজগুলো আরও সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন-
Advertisement
যতটা সম্ভব দ্রুত ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অযথাই দেরি করবেন না। আগেভাগে ঘুমিয়ে গেলে বেশ সকাল সকাল উঠতে পারবেন। তাতে পুরো দিনটি অনেক বড় মনে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, খুব বেশি বা কম ঘুম কোনোটাই শরীরের জন্য উপকারী নয়।
সকালের নাস্তা তৈরির সময় সবার পছন্দের দিকে নজর দিতে গিয়ে নিজের পছন্দ ভুলে যান বেশিরভাগ গৃহিণী। খুব একটা পছন্দের না হওয়ার পরেও অন্যদের পছন্দের খাবারই খেতে হয় তাকে। এমনটা করবেন না। অন্যদের মতো নিজের পছন্দকেও গুরুত্ব দিন। কারণ আপনি ভালো থাকলেই ভালো থাকবে পুরো পরিবার।
নাস্তা তৈরি করে সবাইকে খাওয়ানোর ফাঁকে নিজেও খেয়ে নিন। এরপর সন্তানকে স্কুলের জন্য তৈরি করা কিংবা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব থাকলে বাসায় ফেরার পথে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনতে পারেন। তাতে সময় বাঁচবে অনেকটাই।
Advertisement
এরপর আবার দুপুরের রান্নার পালা। তাই বাড়ি ফিরেই ঝটপট রান্নার পাট সেরে নিন। কাটাকুটি, বাটা-বাটনা আগেই বেশি করে তৈরি করে রাখবেন। যাতে রান্নার সময় প্রতিদিন ঝামেলা পোহাতে না হয়। দুপুরের রান্নার পাশাপাশি এগিয়ে রাখতে পারেন রাতের রান্নাও।
গোসল সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। ক্ষুধা পেলে না খেয়ে কারও জন্য অপেক্ষা করবেন না। মনে রাখবেন, সবকিছুর আগে নিজের সুস্থতা। এরপর কিছুটা সময় পাবেন নিজের মতো।
দুপুরের সময়টা অনেকে ঘুমিয়ে কাটান। আপনার সেরকম অভ্যাস না থাকলে পছন্দের কোনো কাজ করতে পারেন। গল্পের বই পড়া, গান শোনা বা টুকিটাকি রূপচর্চা। এসব কাজ আপনাকে সতেজ থাকতে সাহায্য করবে।
বিকেলে সন্তানকে সময় দিন। অথবা গান শেখা, নাচ শেখানো বা সুইমিং আপনার শখ হলে সেসব শখ পূরণের জন্যও বরাদ্দ রাখতে পারেন কিছুটা সময়।
Advertisement
সন্ধ্যার পর রাতের খাবার তৈরি করে নিন। চেষ্টা করুন বাড়ির সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খেতে।
বাড়িতে যদি বয়স্ক কেউ থাকেন, এই রুটিনের মধ্যেই তাকেও সময় দিন। তার যত্নের দিকে খেয়াল রাখুন।
বাড়ির সবকিছুর খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনার। তাই আপনার ভালো থাকাটা সবার থেকে বেশি প্রয়োজন। নিজে ভালো না থাকলে কাউকে ভালো রাখা সম্ভব নয়। বাড়ির দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না যেন।
এইচএন/পিআর