স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সব মানুষকে মাস্ক পরে বাইরে ঘােরার প্রয়োজন নেই। যাদের সর্দি-কাশি-জ্বর আছে শুধু তারাই মাস্ক ব্যবহার করবে। যাতে তাদের কাছ থেকে কোনাে ছোঁয়াচে রােগ অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে একজনও করোনাভাইরাস রোগী নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্যখাত পূর্ণ সজাগ। ইতোমধ্যে দেশের সব নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অধিক সতর্কতার জন্য চীনের উহান থেকে বাংলাদেশে আসা চীনা নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। উহান থেকে দেশে ফেরা কয়েকজন বাদে বাকিদের রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং সরকারিভাবে তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমান মাস্ক সঙ্কট আছে কি-না, জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শিগগিরই জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৬৮ লাখ মাস্ক বিনামূল্যে প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। এগুলো দেশে এলে বাজারে মাস্কের সঙ্কট কমে যাবে।
Advertisement
স্বাস্থ্যমন্ত্ৰীর ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মাে. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত অর্থাৎ ছোঁয়াচে হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে দেশটির হুবেই প্রদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৯ জনে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশে ১৪ হাজার ৩১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৭৫৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement