বিনোদন

কিংবদন্তি অভিনেতা কার্ক ডগলাস আর নেই

হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও লেখক কার্ক ডগলাস আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে কার্ক ডগলাসের ছেলে মাইকেল বলেন, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ (বুধবার) আমাদের ছেড়ে ১০৩ বছর বয়সে বাবা চলে গেছেন।

ফলে মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগের আর কোনো তারকা বেঁচে রইলেন না। ১৯১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

অভিবাসিত পিতামাতা ও ছয় বোন নিয়ে নিঃসম্বল শৈশব কাটানোর পর ১৯৪৬ সালে বারবারা স্ট্যানউইকের বিপরীতে দ্য স্ট্রেঞ্জ লাভ অব মার্থা আইভার্স (১৯৪৬) দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

Advertisement

১৯৫০-এর দশকে তিনি সেরা বক্স-অফিস তারকা হয়ে ওঠেন এবং গম্ভীর নাট্যধর্মী, পশ্চিমা ধাঁচ ও যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি নব্বইয়ের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

ডগলাস চ্যাম্পিয়ন (১৯৪৯) চলচ্চিত্রে বক্সিং হিরো চরিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করেন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। এ কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

তার অভিনীত শুরুর দিকের অন্যান্য চলচ্চিত্র হলো- লরেন বাকল ও ডোরিস ডের বিপরীতে ইয়ং ম্যান উইথ আ হর্ন (১৯৫০); জ্যান স্টার্লিংয়ের বিপরীতে এইস ইন দ্য হোল (১৯৫১), এবং ডিটেকটিভ স্টোরি (১৯৫১)।

তিনি দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল (১৯৫২) ছবিতে তার নাট্যধর্মী অভিনয়ের জন্য তার দ্বিতীয় অস্কার এবং লাস্ট ফর লাইফ (১৯৫৬) ছবিতে ভিনসেন্ট ভ্যান গখ চরিত্রে অভিনয় করে তৃতীয় অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

Advertisement

অভিনেতা ও মানবহিতৈষী হিসেবে ডগলাস তিনটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন, একটি একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার, এবং প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম অর্জন করেন।

লেখক হিসেবে তিনি দশটি উপন্যাস ও স্মৃতিকথা রচনা করেন। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাদের করা ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সেরা পুরুষ তারকা তালিকায় তাকে ১৭তম হিসেবে স্থান দিয়েছে।

জেডএ/জেআইএম