‘দোস্ত, এখনও নাস্তা করিনি। ব্যাগটা রেখে গেলাম। একটু দেখিস। মধুতে নাস্তা করে এসে লাইনে দাঁড়াব।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের অদূরে এক তরুণ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে, কালো রঙের একটি ব্যাগ রাস্তার ওপর রেখে, আরেক তরুণের উদ্দেশ্যে এ কথা বলছিলেন।
Advertisement
জবাবে অপর তরুণ বলেন, ‘নো প্রবলেম, যা দোস্ত। আমরা লাইনের অনেক পেছনে। নাস্তা খেয়ে ধীরে সুস্থে আয়। তারপর লাইব্রেরিতে ঢুকে গ্রুপ স্টাডি করব।’
৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে তাদের এ আলাপচারিতা। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের আশপাশের রাস্তায় শত শত ব্যাগের সারি দেখা যায়। অদূরে শত শত তরুণ-তরুণী দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন।
তরুণ-তরুণীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপস্থিতদের মধ্যে কেউ সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (অনার্স) কিংবা স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কেউবা সামনেই অনার্স বা মাস্টার্স পরীক্ষা দেবেন। তারা সবাই চাকরির প্রস্তুতির জন্য এসেছেন। প্রতিদিন ফজরের পর থেকেই এভাবে গ্রন্থাগারের সামনে লাইনে দাঁড়ান, সারাদিন পড়াশোনা করবেন বলে।
Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সদ্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত বেকার যুবক লাইব্রেরিতে নিরিবিলি পরিবেশে পড়াশোনা করতে আসেন। ফজরের পর থেকে লাইন শুরু হয়। ছেলে ও মেয়েদের পৃথক লাইন হয়।’
তিনি জানান, আগে লাইনে না দাঁড়ালে গ্রন্থাগারে ভালো জায়গা পাওয়া যায় না। তাই নিরিবিলি পড়াশোনা করতে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আসেন। অনেকে চাকরিতে পরীক্ষা কিংবা সাক্ষাৎকারের বিষয়ে গ্রুপ স্টাডিও করেন।
এমইউ/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement