বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ ধরা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটকে। যেখানে মাঠের খেলা হয় যেমন উত্তেজনাপূর্ণ তেমনি মাঠের বাইরেও থাকে গ্ল্যামারের ঝলকানি। আর এসবের সঙ্গে অর্থকড়ির ছড়াছড়ি তো আছেই।
Advertisement
গ্ল্যামারের সঙ্গে ক্রিকেটের মেলবন্ধন ঘটিয়েই ১২টি আসর পেরিয়ে এসেছে আইপিএল। আগামী মার্চের শেষদিকে নতুন আঙ্গিকে, আরও বেশি চমক নিয়ে শুরু হবে আইপিএলের ১৩তম আসর। যা এরই মধ্যে বাড়তি আগ্রহের জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের মনে।
এদিকে টুর্নামেন্ট শুরুর প্রায় দুই মাস আগে, আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বের করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ভ্যালু নির্ণায়ক প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যান্ড ফিন্যান্স’। তাদের করা জরিপ মোতাবেক, আইপিএলের বর্তমান ব্র্যান্ড ভ্যালু আগের যেকোনো আসরের চেয়ে বেশি, প্রায় ৫৭০ কোটি ইউএস ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ হাজার কোটি (৪৮৪,৭৬,৭৬,৭২,০০০) টাকার সমান।
এ জরিপটি জানাচ্ছে, ২০১৯ সালের আইপিএলে টুর্নামেন্ট চলাকালীন ৪৪ দিনে ৩০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৩৩ হাজার কোটি মিনিট অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি খেলা দেখেছেন। যা কি না এবারের আসরে আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের পরিচালক সংবাদসংস্থা গালফ নিউজকে বলেছেন, ‘২০১৯ সালের আসরটিতে প্রায় ৩০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনলাইনে খেলার দেখেছে। পুরো টুর্নামেন্টের ৪৪ দিনে তাদের মোট স্ট্রিমিং সময় গণনা করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি মিনিটের চেয়েও বেশি। খেলোয়াড়, ফ্র্যাঞ্চাইজি, স্পন্সরদের প্রত্যাশা পূরণ করে ভারতের অর্থনীতিতেও দারুণ ভূমিকা রাখছে আইপিএল।’
টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসের ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেব করা হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি ডলার বা সাড়ে ৬শ কোটি (৬৩৭,৮৫,২২,০০০) টাকা। গত দশবছরে ৯০ শতাংশ বেড়ে গেছে চেন্নাইয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু। ২০০৯ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিলো ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ব্র্যান্ড ভ্যালুর হিসেবে দলগতভাবে চেন্নাইয়ের পরেই রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কলকাতার ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বা সাড়ে ৫ শ কোটি (৫৬৫,৫৬,২২,৮৪০) টাকা। কলকাতার একদম কাছাকাছি থাকা মুম্বাইয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬ কোটি ৫৭ লাখ ডলার বা সাড়ে ৫শ কোটি (৫৫৮,৭৮,৫৮,২৭২) টাকা। গতবছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেড়েছে মুম্বাইয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু।
এছাড়া গতবছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমান ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের। ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান থাকলেও গত দুই আসরে ৭ শতাংশ কমেছে কলকাতার চাহিদা।
Advertisement
এসএএস/এমএস