ঢাকার দুই সিটির ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। এ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার দুপুরে গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
এর আগে বিএনপি মনোনীত দুই মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং তাবিথ আউয়াল ভোটের অনিয়মে চিত্র তুলে ধরেন।
Advertisement
ফখরুল বলেন, নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র আপনাদের সামনে আমাদের দুই প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল তুলে ধরেছেন। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং গণতন্ত্রের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। এর উদ্দেশ একটাই ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েও তারা করতে পারেনি এখন ভিন্ন কৌশলে সেই একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না। আজকে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রশ্ন উঠেছে- এই ধরনের একটি নির্বাচনে যেখানে প্রকৃতপক্ষে ৭-৯ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি সেই নির্বাচনে যারা জয়ী হতে পেরেছেন তাদের আসলে আইনগত যোগ্যতা থাকতো কি না জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা প্রমাণিত হয় গেছে গত ১০-১২ বছরে যে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। সেই কারণেই আমরা বারবার বলেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র ফিরবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ