‘ভারত আমাদের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ। ১৯৭১ সাল থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের সু-সম্পর্কের কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকে আমরা শুধুই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভাবতে চাই এবং এর ভেতরেই রাখতে চাই। কিন্তু কিছু পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দেশের একটি বিশেষ দূতাবাসের ব্যক্তিবর্গের যোগসাজশে বাংলাদেশে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব তৈরি করছে। এটি তরান্বিত হলে সময়ের ব্যবধানে দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি হতে পারে।’
Advertisement
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ, জাগো বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন, ইয়েস বাংলাদেশ, এশিয়া স্বপ্নপুরী ফাউন্ডেশন এবং ৭১ মিডিয়া ভিশনের যৌথ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং ভারতকেই এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে’ ব্যানারে মানববন্ধনে ইয়েস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, জাগো বাংলাদেশের সভাপতি ফরিদ আহমেদ, ইয়েস বাংলাদেশের শাহারুল ইসলাম রকি, জাগো বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পবন আক্তার, এশিয়া স্বপ্নপুরী ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান এজে আলমগীর, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, ৭১ মিডিয়া ভিশন সাধারণ সম্পাদক আর কে রিপন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর হতে সবচেয়ে বেশি এবং সরাসরি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে ইসলামাবাদের। তাদের এই উদ্বেগের বিষয়টি তাদের বিবেচনায় যৌক্তিক বলেই তারা বলে আসছেন এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আমরা মনে করি। আর সেই কারণে আমরা বলতে চাই, কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই আমরা মনে করতে চাই।
Advertisement
এমএইচএম/জেডএ/পিআর