খেলাধুলা

টাইগাররা এখন ইসলামাবাদে, আগামীকাল রাষ্ট্রপতির নিমন্ত্রণ

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গতমাসের শেষদিকে প্রথমবার পাকিস্তান গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেবার সরাসরি বিশেষ ভাড়া করা চাটার্ড ফ্লাইটে যাওয়ায় যাত্রার সময় লেগেছিল মাত্র তিন ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। ব্যর্থ সে সিরিজে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে দুই টি-টোয়েন্টিতেই।

Advertisement

এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত থাকা দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তান গিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রওয়ানা করে কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ যেতে বুধবার সকাল হয়েছে টাইগারদের।

বোঝাই যাচ্ছে, এবারের সফরটি গতবারের মতো সহজ ও সুন্দর ছিলো না বাংলাদেশের। কেননা এবার আর চাটার্ড ফ্লাইটে নয়, ভেঙে ভেঙে পাকিস্তান গিয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে দেশত্যাগ করে ইসলামাবাদ পৌঁছতে বুধবার সকাল প্রায় ১০টা (বাংলাদেশ সময়) বেজেছে মুমিনুল হক, তামিম ইকবালদের।

দলের সঙ্গে যাওয়া জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বুধবার সকালে, জাগোনিউজকে মুঠোফোনে জানান, তারা নিরাপদেই ইসলামাবাদ পৌঁছেছেন। থাকবেন সেখানকার ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে। রাওয়ালপিন্ডি থেকে হোটেলের দূরত্ব ৪৫ মিনিটের ড্রাইভিং পথ।

Advertisement

এবারের পাকিস্তান যাত্রায় প্রথমে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পরে সেখান থেকে বিমানযোগে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পৌছেছে টাইগাররা। দীর্ঘ যাত্রার ধকল কাঁটিয়ে আজ আর অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। তবে বৃহস্পতিবার হবে পুরোদমে অনুশীলন।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির নিমন্ত্রণে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলেননি হাবিবুল বাশার।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সবশেষ ১৭ বছর আগে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে করাচি, পেশোয়ার ও মুলতানে খেলেছিল টাইগাররা। এর মধ্যে মুলতানে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

Arrival of @BBangladesh team at hotel in Islamabad.#PAKvBAN Test to begin on Friday. Get your tickets now. pic.twitter.com/U2ZeZTTasD

Advertisement

— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) February 5, 2020

এআরবি/এসএএস/পিআর