দেশজুড়ে

গাছের নিচে চলছে পাঠদান, কার্যক্রম ব্যাহত

স্কুলভবন ও রাস্তা না থাকায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শত বছরের পুরানো স্কুলটিতে বর্তমানে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি দো-চালা টিনের ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় গাছের নিচে চলছে পাঠদান।জানা গেছে, ১৯১৪ সালে সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের সোনাশুর গ্রামে স্কুলটি স্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। তখন স্কুলটিতে একটি এক-তলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। এ সময় সোনাশুর, ঘোষগাতি, আমুরিয়াসহ আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের শিশুরা স্কুলটিতে আসতো। ২০১৩ সালে স্কুলটির একমাত্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে পুরাতন টিন দিয়ে একটি দো-চালা ঘর উঠানো হয়। ঘরটিকে ছোট ছোট তিন কক্ষে ভাগ করা হয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক সময় গাছ তলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়।বর্তমানে সোনাশুর, ঘোষগাতি ও আমুরিয়া গ্রামের প্রায় তিনশ শিশু এ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে। কিন্তু স্কুলের এ অবস্থার কারণে অভিভাবকরা স্কুলে তাদের সন্তানদের পাঠান না। বর্তমানে স্কুলটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা একশ একজন। বাকী শিক্ষার্থীরা স্কুল ভবন ও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় স্কুলটিতে আসছে না। স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, স্কুলের একমাত্র ভবনটি ভেঙে ফেলায় তাদের গাছ তলায় ক্লাস করতে হচ্ছে। টিনের ঘরটিতে খুব গরম। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। স্কুলে আসার কোন রাস্তা নেই। কাঁদা-পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে আসতে হয়। এতে তারা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না। প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষকসহ ২জন শিক্ষক রয়েছেন। দুইজন শিক্ষকের পক্ষে ভালো শিক্ষা দেয়া সম্ভব না। টিনের ঘরটিতে খুব গরম। স্কুলের একমাত্র ভবনটি ভেঙে ফেলায় শিক্ষার্থীদের গাছ তলায় ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে আমাদের ফলাফলও ভালো হচ্ছে না। আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম স্কুলটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়টির সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।হুমায়ূন কবীর/এসএস/পিআর

Advertisement