সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার দিক থেকে দাপট দেখিয়েছে সেবা ও আবাসন এবং টেলিযোগাযোগ খাত। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই দুই খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনে দাপট দেখিয়েছে জ্বালানি খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশের ওপরে দখল করেছে এ খাতের কোম্পানিগুলো।
Advertisement
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের দু’টি কোম্পানির মধ্যে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। পুঁজিবাজারের সব থেকে বড় মূলধনের এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
অপর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এ প্রতিষ্ঠানটিও মূল্য সূচক বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ কোম্পানিটির ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়িয়েছে দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়া অপর খাত সেবা ও আবাসনের কোম্পানির সংখ্যা ৪টি। এর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১ টাকা ৫০ পয়সা, সমরিতা হসপিটালের ১ টাকা, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৫০ পয়সা এবং সাইফ পাওয়ারটেকের ২০ পয়সা দাম বেড়েছে।
Advertisement
বাকি খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ৮৫ শতাংশ, ভ্রমণের ৭৫ শতাংশ, জ্বালানির ৭৪ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণের ৬৭ শতাংশ, বস্ত্রের ৬৫ শতাংশ, ওষুধের ৬৩ শতাংশ, সিরামিকের ৬০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫৯ শতাংশ, খাদ্যের ৫৩ শতাংশ, চামড়ার ৫০ শতাংশ, আইটির ৪০ শতাংশ, বীমার ৩৩ শতাংশ, বিবিধের ৬৭ শতাংশ, আর্থিকের ৩২ শতাংশ, সিমেন্টের ২৯ শতাংশ এবং ব্যাংকের ২৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। তবে পাট খাতের শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে।
অপরদিকে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবার ওপরে রয়েছে জ্বালানি খাত। এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত।
এছাড়া সিমেন্ট খাতের ৪৩ কোটি ৭৫ লাখ, ওষুধের ৪৩ কোটি ১১ লাখ, বীমার ৪২ কোটি ৮১ লাখ, বিবিধের ২৯ কোটি ৩৬ লাখ, খাদ্যের ২২ কোটি ৭২ লাখ, টেলিযোগাযোগে ২২ কোটি ৭১ লাখ, ব্যাংকের ১৭ কোটি ৩৩ লাখ, আইটির ১৬ কোটি ৭ লাখ, আর্থিকের ১০ কোটি ১২ লাখ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ কোটি ৬২ লাখ, সিরামিকের ৬ কোটি ৪৬ লাখ, সেবা ও আবাসনের ৩ কোটি ৯৯ লাখ, পাটের ৩ কোটি ৬৬ লাখ, কাগজ ও মুদ্রণের ৩ কোটি ৪০ লাখ, ভ্রমণের ৩ কোটি ৭ লাখ এবং চামড়ার ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
এমএএস/আরএস/এমকেএইচ
Advertisement