প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছেন হংকংয়ের হাসপাতালকর্মীরা। সোমবার শত শত ‘অনাবশ্যক’ মেডিকেল কর্মী ধর্মঘট করছেন। দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার থেকে তাদের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সরাও যোগ দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যেই সীমান্ত পারাপারে রেল ও ফেরি বন্ধ করে দিয়েছে হংকং। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, চীন সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
নবগঠিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মচারী জোটের প্রধান উইনি ইউ বলেন, সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ না করলে ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে লড়ার মতো আমাদের যথেষ্ট লোকবল, সরঞ্জাম বা আইসোলেশন কক্ষ থাকবে না। আজকের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে চিকিৎসক-নার্সরাও ধর্মঘটে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
তবে হংকং প্রশাসন বলছে, সীমান্ত বন্ধ করলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অমান্য করা হবে। শহরটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Advertisement
প্রায় ৭০ লাখ জনসংখ্যার শহর হংকং চীনের অংশ হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। তাদের সীমান্ত কার্যক্রমও ভিন্ন দু’টি দেশের মতো। ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে যোগাযোগসহ হংকং যাওয়ার ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে চীন। দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত ৩৬০ জন। এ পর্যন্ত অন্তত ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনের বাইরে ১৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রোববার ফিলিপাইনে মারা গেছেন একজন।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/এমকেএইচ
Advertisement