দেশজুড়ে

পেকুয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ ১০

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চিংড়ি ঘেরের সীমানা বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন উভয় পক্ষের আরো ১০ জন। মঙ্গলবার সকালে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছেরাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম কফিল উদ্দীন (৩০)। তিনি ওই এলাকার জসীম উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ৮জনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চেরাদিয়ার আজম খান ও তার ভাগিনা কায়সার পক্ষের মধ্যে চিংড়ি ঘেরের সীমানা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে উভয় পক্ষ বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজম খান পক্ষের কফিল উদ্দীন নিহত হন। আহত হন আজম খান, জসীম উদ্দীনের ছেলে বাপ্পী (২২), মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন, শাহাজামালের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নীলুফা, শাহাব উদ্দীনের ছেলে মোরশেদ আলম (১৮), মকছুদ (৩৪), রুস্তম (৩৫), জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জয়নাব বেগম (২০), স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৩), মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে বাবুল (৫৫) এবং শাহজামালের মেয়ে মিনা (২৭)। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাপ্পী, জয়নাল আবেদীন, মোরশেদ, জয়নাব বেগম, সাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ঘটনা পর পালিয়ে যাওয়ার পথে চকরিয়া কোনাখালী থেকে কায়সার গংয়ের কায়সারসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে আটকদের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি পুলিশ। সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব জাগো নিউজকে বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মাসুদ বলেন, আটকদের চকরিয়া থানায় রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সায়ীদ আলমগীর/এসএস/পিআর

Advertisement