সেই বয়সভিত্তিক জাতীয় দল থেকে একসঙ্গে খেলছেন। ২০০৬ সালে যুব দলে (অনূর্ধ্ব-১৯) একসাথে খেলেছেন তামিম আর রকিবুল। তারপর জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন বেশ কিছু দিন। তাই তামিম কত ভালো ব্যাটসম্যান, তার সামর্থ্য কি? সব খুব ভালো জানা রকিবুলের। রকিবুল মনে করেন, তামিম যা করেছেন, সেটা তার মানের একজন ব্যাটসম্যানের করারই কথা। সমস্যা হলো, তামিম শুধু ট্রিপল করেই থামেননি, পেছনে ফেলে দিয়েছেন বন্ধু রকিবুলকেও। কেননা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক ছিলেন এই রকিবুল। তার ৩১৩ রানের সেই ইনিংসকে পেছনে ফেলে আজ (রোববার) তামিম করলেন অপরাজিত ৩৩৪।
Advertisement
রকিবুলের কি একটুখানি হিংসে হচ্ছে? মোটেই না, বরং বন্ধুর এমন অর্জনে খুশি রকিবুল। রেকর্ড কেড়ে নেয়া তামিমকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমিই অভিনন্দন জানিয়েছি। আপনারা মনে হয় জানেন, আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছি। আমাদের একসঙ্গে যাত্রা অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে। সেদিক থেকে তামিম আমার অন্যতম সেরা বন্ধু। আমার খুব ভালো লেগেছে।’ তামিমের এ ইনিংসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রকিবুলের মূল্যায়ন, তামিম এমন অসামান্য কৃতিত্বর দাবিদার হতেই পারেন। তার মেধা, মান ও জাত- সেটাই ডিমান্ড করে। রকিবুল বলেন, ‘আপনারা সবাই স্বাক্ষী, তামিম আজকে যেভাবে খেলেছে সে এমন ট্রিপল সেঞ্চুুরি ডিজার্ভ করে।’ এতকাল যা ছিল তার একার। এখন সেই ট্রিপল সেঞ্চুুুরির কৃতিত্ব ভাগাভাগি হয়ে গেল। কিছুটা খারাপ লাগা অস্বাভিক নয়। তবে রকিবুলের মনে হয়, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যেহেতু তিনিই প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুুুরিয়ান, তাই তার কথা সবার আগে উচ্চারিত হবে। এবং রেকর্ড বইয়ে তার নামটাই আগে থাকবে।
রকিবুলের ভাষায়, ‘ক্রিকেটার হিসাবে রেকর্ডের ক্ষেত্রে মনে হয় যে আমার রেকর্ডটা উপরে থাকবে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে একটু অন্যরকম লেগেছে আমার কাছে।’ একদম খেলোয়াড়িসুলভ মানসিকতায় তামিমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রকিবুল বলেন, ‘স্পোর্টিং মাইন্ডে বলতে গেলে তামিমের মতো প্লেয়ার যে এটা ভেঙেছে, সেটাও অন্যরকম ভাল লাগা।’
তার শেষ কথা হলো, ‘তামিম যে জাত ও মানের ব্যাটসম্যান, তাতে এমন অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী হওয়া তাকেই মানায়। আমি যেমনটা বললাম ও (তামিম) যে মানের প্লেয়ার এবং যে ধরনের খেলা খেলেছে আপনারা সবাই দেখেছেন। ইটস ‘ট্রিমেন্ডাস’।’
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ