‘সকাল থেকেই তো গাড়ি চলছে। হরতালের কারণে অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। ভোটের ছুটি কাটিয়ে আজ সবাই কাজে নেমেছে’, উত্তরার আজিমপুর ফুটওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন বাশার আহমেদ। তিনি আজিমপুরের একটি চেইনশপের ম্যানেজার।
Advertisement
বাশার বলেন, ‘আশেপাশের সব দোকানপাট খুলেছে।’
বিএনপির ডাকা হরতাল চললেও সকাল থেকেই আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, এয়ারপোর্ট এলাকার রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় তা কিছুটা কম। আবুদল্লাহপুর, এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড় গাড়ির চাপ দেখা যায়। আশেপাশের সব মার্কেটও খোলা। চাপ না থাকলেও ক্রেতা সমাগম চলছে।
আবদুল্লাহপুর থেকে বাড্ডাগামী তুরাগ বাসের চালক মো. আকাশ জাগো নিউজকে বলেন, ‘হরতাল যারা ডাকে তারা বুঝে ডাকে যে, সবকিছু ঠিকঠাক চলবে। কারণ, হরতালের জন্য বসে থাকলে তো সাধারণ মানুষের পেট চলবে না। পেট চালাতে হলে বাস চলতে হবে। আর আমার মালিকও হরতালে গাড়ি নামাতে নিষেধ করেনি।’
Advertisement
তাছাড়া হরতালের আগের সেই দিন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল হরতাল শুনলেই মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হতো। এখন তো তেমন না। এজন্য মানুষও ভয় না, কাজে বের হয়। মানুষ বের হয় বলেই তো আমরাও বাস নামাতে পারি।’
উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে কথা হয় শারমিন বেগমের সঙ্গে। ছেলেকে নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছেন তিনি। আলাপকালে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আসার পথে পুরো রাস্তায় অনেক বাস দেখেছি। গাড়ি পেতে সমস্যা হয়নি। সেইভাবে জ্যাম না থাকলেও সিগন্যালে আটকা থাকতে হয়েছে।’
স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার জানান, হরতালের কারণে পুলিশের টহল দেখা গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মিছিল চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ঢাকায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি। দলটি রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকলেও দেখা যায়নি তাদের পিকেটিং করতে।
Advertisement
রাজধানীজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা, সতর্কতা ও নজরদারিতে চলছে যানবাহন। ছেড়ে যেতে দেখা গেছে দূরপাল্লার পরিবহনও। রাজধানীর প্রধান সড়ক, গলিপথ সব স্থানেই চলছে যানবাহন।
জেপি/এসএইচএস/জেআইএম