মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শতাব্দি সেরা চুক্তির ব্যাপারে নীরব থাকায় আরব বিশ্ব এবং মুসলিম নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একই সঙ্গে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তুরস্কের কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ সময় হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ছাড়াও আরব বিশ্বের তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
আঙ্কারায় তুরস্কের ক্ষমতাসী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির প্রাদেশিক নেতাদের এক বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের লক্ষ্যে ট্রাম্পের ওই চুক্তি আমরা কখনই স্বীকৃতি কিংবা মেনে নেবো না।
তিনি বলেন, জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য পুরোপুরি ইসরায়েলের রক্তাক্ত নখদর্পনে ছেড়ে দেয়া হলে তা মানবতার সর্বনিকৃষ্ট কাজ হবে। ইহুদিদের সঙ্গে কোনও ধরনের সমস্যা না থাকলেও ইসরায়েলের অত্যাচারী নীতির বিরুদ্ধে তুরস্ক। কারণ ইসরায়েলের লক্ষ্যই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া।
Advertisement
পবিত্র নগরী জেরুজালেমে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অন্যান্য স্থাপনার তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে ট্রাম্পের ওই শান্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, আমরা যদি আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যতে যারা পবিত্র কাবাকে টার্গেট করবেন আমরা তাদেরকেও ঠেকাতে পারবো না। এ কারণে জেরুজালেম আমাদের শেষ সীমা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেম বিশ্বের সব মুসলিমের বিষয়। মুসলিম বিশ্বের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করে এরদোয়ান প্রশ্ন করেন, আপনারা কখন আওয়াজ তুলবেন?
তিনি বলেন, ইসরায়েলের মতো একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রকে কখনই তুরস্ক মেনে নেবে না। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের অবস্থানের ব্যাপারে যখন জানতে চাই, তখন নিজের প্রতি করুণা হয়। সৌদি আরব অধিকাংশ সময়ই নীরব। কখন আওয়াজ তুলবে সৌদি? একই কাজ করছে ওমান, বাহরাইন এবং আবু ধাবির ক্ষমতাসীন সরকারও।
এরদোয়ান বলেন, তারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে এই কাজের প্রশংসা করেছেন। আপনাদের জন্য লজ্জা... জেরুজালেমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ এ ধরনের একটি পরিকল্পনায় সমর্থন দিচ্ছে আরব বিশ্বের কিছু দেশ।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম