বিনোদন

আওলাদ হোসেনকে নিয়ে যা বললেন চিত্রনায়িকা রোজিনা

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোহাম্মাদ আওলাদ হোসেন গেল ২ অক্টোবর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজ তিনি নেই। এখানে সেখানে পড়ে আছে তার উজ্জ্বল কর্মজীবনের শত স্মৃতি। তার কাছের মানুষেরা সেইসব স্মৃতিতেই খুঁজে ফিরছেন আওলাদ হোসেনকে। তেমনি করে সুদূর লন্ডনে থেকে ঢাকাই ছবির এনসাইক্লোপিডিয়া খ্যাত এই সাংবাদিককে স্মরণ করলেন ঢাকাই ছবির বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রোজিনা। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ফেসবুকে রোজিনা বলেন, ‘খবরটা প্রথমে আমার ছোট ভাইয়ের কাছে শুনি। বিশ্বাস হতে চাইছিলো না। পরে বেশ কিছু পত্রিকাতেও পড়লাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে আসে ভাবলে আওলাদ হোসেন নেই। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্রের সত্যিকারের আপন মানুষ। আমি যখন ব্যস্ত অভিনেত্রী আওলাদ তখন যুবক। কী কর্ম তৎপর আর প্রাণবন্ত ছিলো সে। দিনে দিনে নিজেকে চলচ্চিত্রের বন্ধু বানিয়ে নিয়েছিলো। সে জানতো কোনটা নিউজ আর কোনটা নিউজ নয়। আমার খুব প্রিয় ছিলো আওলাদ। দেখা হতো দেশে গেলেই। মিষ্টি হেসে কুশল বিনিময় করতো; খোঁজ খবর নিতো। ভাবতে খারাপ লাগে তার সাথে আর দেখা হবে না। সাংবাদিক হিসেবে তো বটেই, আওলাদ সবার কাছেই প্রিয় ছিলো একজন ভালো মানুষ হিসেবে।’রোজিনা আরো বলেন, ‘আওলাদ হোসেনের সবচেয়ে বড় গুণ ছিলো তিনি সবার সাথেই পরিবারের সদস্যদের মতো মিশতে পারতেন। তারকাদের ব্যক্তি জীবনেও তার প্রভাব ছিলো। চলচ্চিত্রের অনেক মানুষের উপকার করেছে আওলাদ হোসেন। তার মতো অভিভাবকসুলভ সাংবাদিক হারানো চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার মতো এমন সুন্দর, সৎ মানুষের চলে যাওয়া বেদনার। আমি তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি। তার পরিবারের প্রতিও রইল সমবেদনা।’প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে বড়পর্দায় অভিষেক হওয়া চিত্রনায়িকা রোজিনা দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী চলচ্চিত্র। আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত এই অভিনেত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই পরিবার নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে নাড়ির টানে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। সেসময় নাটক-টেলিছবি নির্মাণসহ নানা ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকেন তিনি।এলএ/এমএস

Advertisement