বিনোদন

সিনেমা ফ্লপ, হল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেবেন রজনীকান্ত

তামিল ছবির ‘ঈশ্বর’ বলা হয় রজনীকান্তকে। কেউ কেউ তাকে তামিলের থালাইভা বলেও ডাকেন যার বাংলা অর্থ নেতা। তার সিনেমা মানেই দক্ষিণ ভারতে উৎসব। তার সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে সরকারি ছুটির কথাও শোনা যায় কখনো কখনো।

Advertisement

সেই সুপারস্টার রজনীকান্তের সিনেমা ফ্লপ করেছে! ‘গজিনী’খ্যাত পরিচালক এ আর মুরুগাদস বানিয়েছিলেন ‘দরবার’ নামের ছবি। নয়নতারার বিপরীতে এই ছবির নায়ক রজনীকান্ত। ছবিটি চলেনি। ২০১৪ সালে ‘লিঙ্গা’ ছবির পর আবারও ফ্লপ নায়কের স্বাদ নিলেন রজনী।

‘দরবার’ ব্যর্থ হওয়ায় চেন্নাইয়ে একদল চিত্র পরিবেশকের সঙ্গে গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বৈঠকে বসেছেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। বৈঠকের বিষয় বক্স অফিসে তার ছবির মুখ থুবড়ে পড়া।

লাইকা প্রোডাকশনস প্রযোজিত এই ছবি মুক্তি পায় বছরের গোড়ায়। রজনীকান্তের ছবি বলে কথা। তার ওপর এই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছেন কিংবদন্তী তামিল সুপারস্টার এবং ‘গজিনী’ খ্যাত পরিচালক এ আর মুরুগাদস। ভাবা হয়েছিল, সবরকম বক্স-অফিস রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দেবে এই ছবি। অথচ বাস্তবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রযোজক এবং ডিস্ট্রিবিউটররা। যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হবে বলে ভাবা গিয়েছিল, তার সিকিভাগও হয়নি।

Advertisement

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষিপ্ত ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের আর্থিক ক্ষতির একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন। যা তারা বৈঠকে তুলে দিয়েছেন রজনীকান্তের হাতে। তবে মিডিয়াকে এখনও দেখানো হয়নি সেই চিঠি।

প্রযোজক তথা ডিস্ট্রিবিউটর জি ধনঞ্জয়নের কথায়, ‘যদি ক্ষতির পরিমাণ সাধ্যের মধ্যে হয় (১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে) তাহলে ক্ষতিপূরণ দেবেন রজনীকান্ত। কিন্তু তার বেশি লোকসান হলে ম্যানেজ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।’

অতীতেও নিজের ছবি বড় রকমের ফ্লপ করলে ডিস্ট্রিবিউটরদের টাকা ফেরত দিয়েছেন রজনীকান্ত। ২০১৪ সালে ‘লিঙ্গা’ এবং ২০০২ সালে ‘বাবা’ নামক ছবিগুলি চলেনি একেবারেই। সেইসব ছবিতে যে লোকসান ছিলো ডিস্ট্রিবিউটর এবং প্রদর্শকদের তা মিটিয়ে দিয়েছিলেন তামিল সিনেমার এই মহাতারকা।

জানা গেছে ‘দরবার’ ছবির জন্য রজনীকান্তের পারিশ্রমিক ছিল ১০৮ কোটি টাকা। এ পারিশ্রমিক নিয়ে জনপ্রিয় ফিল্ম পরিবেশক তিরুপুর সুব্রমনিয়ম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমাদের হিরোরা যদি কাজের জন্য বেতন না নিয়ে লাভের অংশ নিতেন, তাহলেই কোনো অসুবিধে হতো না। হিন্দি ছবির অসংখ্য অভিনেতা ছবির লাভের একটা অংশ নেন পারিশ্রমিক হিসেবে। ইংরেজি ছবিতেও কোনো নির্দিষ্ট বেতন নেই। প্রফিট হলে ৬০ শতাংশ নেবেন হিরো, ৪০ শতাংশ যাবে প্রযোজকের কাছে। আমাদের দক্ষিণেও এটা চালু হওয়া উচিত।

Advertisement

একমাত্র তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই অভিনেতারা পুরো টাকা নেন। ছবি চলুক বা না চলুক। হয়তো রজনীকান্তের ছবি ফ্লপ হলে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়। অন্য নায়কেরা তার মতো নয়। ছবি ফ্লপের দায় তারা নেন না।’

এলএ/এমকেএইচ