জাতীয়

তাবিথের এজেন্ট মেলেনি কল্যাণপুরের সাত কেন্দ্রে

রাজধানীর কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুল। এখানে রয়েছে সাতটি কেন্দ্র। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্টদের সরব উপস্থিতি। কিন্তু বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের কোনো এজেন্টকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তবে সেখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের এজেন্টদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।

দেখা যায়, স্কুলটির প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থক-ভোটারদের ভিড়। স্কুলটির ভেতরেও একই অবস্থা। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের কক্ষগুলোর সামনে ভোটারের সংখ্যা খুবই কম। তবে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশ।

প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুলে মোট সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি পুরুষ কেন্দ্র, দুটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩৫১নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মীর মোহাম্মদ মেহেদী মাসনাদ জানান, তার নিয়ন্ত্রণাধীন ২নং কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৩৯০ জন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ভোট পড়েছে মাত্র ১৪১টি। ৩৪৮নং কেন্দ্রের ছয়টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৪৪। এর মধ্যে ভোট পড়েছে সোয়া দুইশ। সেখানে নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের দেখা গেলেও তাবিথ আউয়ালের ছয় এজেন্টের কাউকে দেখা যায়নি।

Advertisement

প্রিসাইডিং অফিসার মো. আকতার হোসেন জানান, সকাল সকাল ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও সাড়ে ১০টা নাগাদ তাদের উপস্থিতি কমতে থাকে। আশা করি ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে এবং কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ভোট কাস্ট হবে।

৩৫২নং কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৯০ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে ১১০টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, এখানে কাগজে-কলমে তাবিথ আউয়ালের এজেন্টদের তালিকা থাকলেও তারা অনুপস্থিত। এর দায় তো আমাদের নয়। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবেনা।

আতিকুল ইসলামের এক এজেন্ট জানান, মহিলা কেন্দ্রে বিএনপির তাবিথ আউয়ালের এজেন্ট আছে। তারা যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন।

এদিকে কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুলের সাত ভোট কেন্দ্রের বুথ খুঁজে বের করতে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে ভোটারদের। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ ব্লকে ভাগ করে ভোটকেন্দ্র ও বুথ বণ্টনের কারণে কাঙ্ক্ষিত বুথে গিয়ে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা। এমনই এক ভোটার আওয়াল। তিনি জানান, এক ঘণ্টা ধরে স্কুলের দুই তলায় যাচ্ছি, তিনতলায় যাচ্ছি কিন্তু ভোট দিতে পারছি না। আমার ভোটার নম্বরের সঙ্গে বুথের সিরিয়ালের মিল পাচ্ছি না। পোলিং এজেন্ট, আনসার, পুলিশ কারও কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না।

Advertisement

তবে ঘুড়ি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী মনসুর আলীর এজেন্ট জানান, এখানে বেশ কয়েকটি বস্তির ভোটার রয়েছেন। মূলত তারাই ভোট দিতে এসে বিপাকে পড়ছেন। তাদের শিখিয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এ কারণে ভোট দিতে সময় লাগছে।

সাতটি ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এস এম ইমামুল জানান, ভোটগ্রহণ কীভাবে সম্পন্ন হবে সে দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা প্রিসাইডিং অফিসার এবং ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুত এবং সক্রিয় রয়েছি। সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জেইউ/এমএআর/পিআর