এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে করোনাভাইরাসের উপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়া ৩২৪ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। বিশেষ ওই বিমানে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার একজন প্যারামেডিক সদস্য ছিলেন। শনিবার সকালে বিমানটি ভারতে এসে পৌঁছেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, আক্রান্ত কোনো যাত্রীর কারণে অন্য যাত্রী,পাইলট ও কেবিন ক্রুরা যাতে ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে না পড়েন এর জন্য বিশেষজ্ঞা চিকিৎসকের মাধ্যমে চীনের উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা সেসব শিক্ষার্থীর নানাভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। চীন থেকে আজ আরও একটি বিমান আসার কথা রয়েছে।
Advertisement
ভারতীয় দূতাবাস এক টুইট বার্তায় লিখেছে, ‘ভারতীয় ৩২৪ জন নাগরিককে নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতীয় শিক্ষার্থী। উহান থেকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ ফ্লাইটের বিষয়ে সাহায্য করায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ।’
চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা এসব ভারতীয়কে রাজধানীয় দিল্লির অদূরের মানেশর নামক এলাকার বিশেষবাবে তৈরি একটি কেন্দ্রে আলাদা করে রাখা হবে। যাতে করে তাদের দ্বারা এই ভাইরাস অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উদ্দেশ্যে একটি পূর্ণ মাত্রার অপারেশন চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
মানেশর নামক এলাকায় আনুমানিক ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে রেখে আগামী দুই সপ্তাহ ধরে তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ পর্যবেক্ষণে রাখবেন বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল কর্মীরা। এছাড়া বিমানবন্দরে নামার পরপরই বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এএইচও) এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেলে সার্ভিসেস (এএফএমএস) তাদের স্ক্রিনিং করে।
Advertisement
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যাদেরকে এমন সন্দেহ করা হয়েছে তাদের দিল্লি সেনানিবাসের সামরিক হাসপাতালের একাকী নির্জন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। স্ক্রিনিংয়ের সময় শিক্ষার্থীদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথমটি হলো যারা আক্রান্ত বলে সন্দেহজনক, দ্বিতীয়টি যারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এবং তৃতীয়টি যারা সংক্রমিত হননি।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডেই এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৯১ জনের বেশি। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শনিবার সর্বশেষ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ২৫৯ জন। হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২৪৯ জন মারা গেছেন হুবেইতে। প্রদেশটির রাজধানী উহান থেকেই ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসএ/
এসএ/এমএস
Advertisement