আর মাত্র একদিন পরই (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন মাসব্যাপী এ বইমেলার উদ্বোধন করবেন। লাখো বইপ্রেমি বাঙালির প্রাণের বইমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ছোটবড় স্টল সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে বাংলা একাডেমি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, লাখো বইপ্রেমি পাঠককে স্বাগত জানাতে বইমেলার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। অধিকাংশ স্টলের সাজসজ্জার কাজ শেষ। কেউ কেউ স্টলে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত নতুন বই ও গত বছরের বই সাজাতে ব্যস্ত। কেউ কেউ এখনও স্টলের অঙ্গসজ্জায় ফিনিশিং টাচ দিচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের বইমেলা তার (বঙ্গবন্ধু) নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক যেন বইমেলার বিভিন্ন অঙ্গসজ্জায় ফুটে ওঠে সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রখ্যাত স্থপতি এনামুল কবির নির্ঝর সেই পরিকল্পনাটি করেছেন। এবারের বইমেলা অসাধারণ সুন্দর একটি বইমেলা হবে। বইমেলায় শিখর, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন- এ চার ধাপে ফুটে উঠবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী।
এবারের বইমেলায় ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯ ইউনিট ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪ ইউনিটের স্টল ও ৩৪টি প্যাভিলিয়ান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
বাংলা একাডেমিতে ৮৬টি ও উদ্যানে ২০৬টিসহ এক ইউনিটের ২৯৪টি স্টল, বাংলা একাডেমিতে ৬০টি ও উদ্যানে ২৩০টিসহ দুই ইউনিটের ২৯০টি স্টল, বাংলা একাডেমিতে ২১টি ও উদ্যানে ১৫৬টিসহ তিন ইউনিটের ১৭৭টি স্টল এবং বাংলা একাডেমিতে ১২টি ও উদ্যানে ১০০টিসহ চার ইউনিটের ১১২টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ও ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা উদ্বোধন করার আগে পর্যন্ত কেউ বই নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর মেলা উদ্বোধন করে চলে যাওয়ার পর সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
এমইউ/জেএইচ/পিআর
Advertisement