আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস: বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পরও তেলের দাম বৃদ্ধি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এর কারণে ভ্রমণ ও বাণিজ্যে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা দরকার নেই বলেও মত দিয়েছে তারা। এ ঘোষণার পরপরই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তেলের বাজার। প্রায় মাসখানেক টানা দরপতনের পর অবশেষে শুক্রবার কিছুটা বেড়েছে সব ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম।

Advertisement

গত দুই সপ্তাহে অন্তত নয় শতাংশ কমে গেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ চীনে দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এর আরও বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। বেশিরভাগ দেশই তেলের উৎপাদন কমিয়েছে বা বন্ধ করে দিয়েছে।

এর মধ্যে শুক্রবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) সিএলসি১-এর দর প্রতি ব্যারেলে ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ২৩ ডলার। চলতি মাসে এর দাম কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। এছাড়া ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৯০ সেন্ট বেড়ে হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৫৯ দশমিক ১৯ ডলার। জানুয়ারিতে এর দাম কমেছে অন্তত ১০ শতাংশ।

তেলের বাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ায় ফেব্রুয়ারিতে ওপেক প্লাসের জরুরি বৈঠক ডেকেছে সৌদি আরব। যদিও গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থমকে ছিল রাশিয়ার আপত্তির কারণে। দেশটি ‘অতি জরুরি অবস্থা’ নাহলে তেলের উৎপাদন কমানোর পক্ষপাতী নয়।

Advertisement

তেল ছাড়াও করোনাভাইরাস আতঙ্কের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে এশিয়ার শেয়ারবাজারও। টানা দরপতনের পর শুক্রবার জাপানের নিক্কেইয়ের (এন২২৫) সূচক বেড়েছে প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া হংকংয়ের হ্যাং সেং (এইচএসআই) সূচক বেড়েছে ০.৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কসপির সূচক বেড়েছে প্রায় ০.৩ শতাংশ।

এর আগে গত দুই দিনে হ্যাং সেং-এর সূচক পড়ে গিয়েছিল অন্তত পাঁচ শতাংশ। একই সময় নিক্কেই আর কসপি হারিয়েছিল অন্তত ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে, আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি। হুবেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, ফলে ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহান শহরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪ জনে। চীন ছাড়া আরও অন্তত ১৮টি দেশে ধরা পড়েছে প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাস।

কেএএ/টিটিএন/পিআর

Advertisement