দেশজুড়ে

নওগাঁ বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

নওগাঁ বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জেলা ট্রাক, ট্যাংক-লরি ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য প্রায় আধা ঘণ্টা প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে। এতে রাস্তার দুইপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে চলাচল স্বাভাবিক হয়। সোমবার দুপুরে শহরের পার-নওগাঁ এলাকায় বগুড়া-সান্তাহার রোডে ট্রাক দিয়ে বেরিগেট দিয়ে এবং লার্নারের কাগজপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়ে অবরোধ করেছে।জানা যায়, নওগাঁয় জেলা ট্রাক, ট্যাংক-লরি ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা প্রায় চার হাজার। জীবিকার তাগিদে ট্রাক নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। ৩শ জন শিক্ষানবিশ ড্রাইভারের মধ্যে একশ জনকে কাগজপত্র দেয়া হলেও বাকিদের গত এক বছর যাবৎ বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিংয়ের কোনো কাগজপত্র দেয়া হয়নি। কাগজপত্রের জন্য বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের বারবার জানানো হলেও তারা কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এজন্য কয়েকশ শিক্ষানবিশ ড্রাইভার বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শহরের পার-নওগাঁ এলাকায় বগুড়া-সান্তাহার রোডে অবরোধ করে।শিক্ষানবিশ ড্রাইভার রানা জানান, বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দেয়া হয়েছে। অফিসের কর্মকর্তা টাকা ঘুষ চান। ঘুষ দেয়ার পরেও লাইসেন্স দিচ্ছেন না। ফিঙ্গার সমস্যা, পরীক্ষা ভালো হয়নি এভাবে বিভিন্ন সমস্যা ধরেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা। এছাড়া লাইসেন্স আজ হবে কাল হবে বলে দিন পার করেন।ড্রাইভার আব্দুল করিম জাগো নিউজকে জানান, সরকারের (প্রধানমন্ত্রী) কথামতো সঠিক উপায়ে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও গত এক বছর থেকে আজ কাল কাগজপত্র দেবে বলে দিন পার করে।এছাড়া আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, বিআরটিএ অফিস থেকে নাকি শিক্ষানবিশ ট্রাক ড্রাইভারদের কাগজপত্র হারিয়ে গেছে। যদি কাগজপত্র হারিয়ে যায় তাহলে সবারই যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনশ জনের মধ্যে একশ জনকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বাকিদের হচ্ছে না কেন?  এছাড়াও মহসিন আলী, শামিম হোসেন বাবুসহ অনেকেই জানান, নিয়ম অনুসারে পরীক্ষা দেয়া হলেও গত এক বছর থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাগজপত্র দেবে বলে দিন পার করছে বিআরটিএ অফিস। কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালালে বিভিন্ন জেলায় আমাদের হয়রানি হতে হয় পুলিশের হাতে।জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, গত এক বছর ধরে এ জটিলতা হচ্ছে। ড্রাইভারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র চায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ অফিসের সঙ্গে এ নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সদুত্তর দেয়নি।নওগাঁ বিআরটিএ সহকারী পরিচালক সুবীর কুমার সাহা জাগো নিউজকে জানান, দায়িত্ব নেয়ার পর গত এক বছর থেকে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। তবে আগামী বৃহস্পতিবার পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাগজপত্র নিয়ে অফিসে এসে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান তিনি।এমজেড/এমএস

Advertisement