চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়বার এমন জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৯ সালে যখন এইচওয়ানএনওয়ান (সোয়াইন ফ্লু) ভাইরাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওই পরিস্থিতিকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে রোগটি প্রতিরোধে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারসহ ভ্যাকসিন চালু করে।
২০১২ সালে বিশ্ব পোলিও নির্মূলের কাছাকাছি চলে এলেও ২০১৩ সালে পোলিও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। পোলিও নির্মূলে বিশ্বব্যাপী তৎপরতা জোরদারের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে আরেকদফা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
২০১৬ সালে 'জিকা' ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ওই পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জিকা ভাইরাস সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল গর্ভবতীদের জন্য।
Advertisement
ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হওয়ায় ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দুই দফায় স্বাস্থ্যগত বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসে পশ্চিম আফ্রিকায় ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত ও ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে পশ্চিম আফ্রিকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যথাপোযুক্ত না থাকায় ঝুঁকি প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত বছর কঙ্গোতে ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮২১ ছাড়িয়ে গেছে। চীন ছাড়াও বিশ্বের ২৩টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
এমইউ/এনএফ/এমএস
Advertisement