নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা সিটি কলেজে প্রসাশনের বিরুদ্ধে। বোর্ডের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন আদায়ের বিধান না থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বেতন আদায় করছে।
Advertisement
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা সিটি কলেজের বৃত্তিপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে মাসিক বেতন মওকুফের কথা বললেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা থেকে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ডের ‘মেধা বৃত্তি’ ও ‘সাধারণ বৃত্তি’ প্রদান প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মাধ্যামিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সচিব প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলির ৩ নম্বর ধারাতে বলা হয়,
‘সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে। সরকার অনুমোদিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন দাবি করতে পারবে না। তাদের কাছে মাসিক বেতন দাবি করলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Advertisement
শিক্ষাবোর্ডর নীতিমালার বাইরে বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘সিটি কলেজ কোনো সরকারি অনুদান গ্রহণ করে না। যার ফলে শিক্ষকদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নিতে হয়। তবে কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় যারা জিপিএ-৫ পায় তাদেরকে কলেজ থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সচিব প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, ‘যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করে তাহলে শিক্ষার্থী অথবা অভিভাবক বোর্ডের সচিব অথবা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন আদায়ের বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি ইতোমধ্যে আমার কনসার্ন অফিসারকে ফোন দিয়েছি৷ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নাহিদ হাসান/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement