মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বর্তমানে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রতিনিয়ত নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত সৈয়দা রুবিনা আক্তারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা সম্মানী ভাতাসহ ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে।
সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সব শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি স্মারকমূলে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদান সংক্রান্ত সুবিধাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো উদ্যোগে প্রয়োজনবোধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে।
Advertisement
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যারা এখন পর্যন্ত সনদ পাননি, তাদেরসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) সনদ দেয়া হবে।
এইচএস/এমএসএইচ/পিআর