বিদেশ থেকে আসা কেউই এই মুহূর্তে স্ক্রিনিং (রোগ শনাক্ত পরীক্ষা) ছাড়া দেশে প্রবেশ করছেন না এবং করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, বিদেশফেরত সব ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী গেটে তিনটি স্ক্রিনিং মেশিন বসানো হয়েছে। একটি ভিআইপি গেটে, একটি সাধারণ গেটে এবং অন্যটি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্থল ও নৌবন্দরেও স্ক্রিনিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনসচেতনতামূলক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি।
সম্প্রতি চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের এ ভাইরাস ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সেজন্য ওই দেশে ভ্রমণ করে আসা যাত্রীদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত আছে কি-না, তা শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর সংলগ্ন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একটি আলাদা আইসোলেটেড কেবিন (করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহভাজনের জন্য) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রতিটি যাত্রীর জন্য একটি করে করোনাভাইরাস বিষয়ক নির্দেশিকা গাইড রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরি হটলাইন মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। সুতরাং করোনাভাইরাস নিয়ে এই মুহুর্তে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
Advertisement
দেশের চিকিৎসকদের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর সময় আমাদের চিকিৎসকরা যেভাবে সফলতা দেখিয়েছেন তা বিশ্বে বিরল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় দেশের মেডিসিন সোসাইটি আগে থেকেই যেরকম প্রস্তুতি নিয়েছে এবং চিকিৎসকদের ভাইরাসটির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে, তাতে দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস বহুগুণ বেড়ে গেছে। চিকিৎসার সব ক্ষেত্রেই আমাদের চিকিৎসকদের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রফেসর তারিকুল ইসলাম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর রোবেদ আমীন।
এমইউ/এইচএ/পিআর
Advertisement