জাতীয়

চীন থেকে ৩৭০ জন দেশে ফিরতে চান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও ৭ হাজার ৭১১ জন এতে আক্রান্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে অবস্থানরত এখন পর্যন্ত ৩৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ)- ২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো তাদের আনতে রেডি (প্রস্তুত)। যখনই ওরা আসতে চাইবে এবং চাইনিজ সরকার এলাও (অনুমতি) করবে আমরা সাথে সাথে নিয়ে আসবো। শুনেছি কোনো কোনো দেশ তাদের কূটনীতিকদের নিয়ে গেছে, সেই ফাঁকে যদি অন্য কাউকে নিয়ে যায় সেটা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যারা ছেলেমেয়ে আছে প্রায় ৩৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানে ওরা ছড়িয়ে আছে। বিশেষ করে উহানের কথা বলছি… এমনিতেই চাইনিজরা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে তাদের অসুখ-বিসুখ হলে চাইনিজ সরকার চিকিৎসা দেবে। আর আমরা এখানে মোটামোটিভাবে রেডি।’

Advertisement

মোমেন বলেন, ‘উহান থেকে বাসযোগ আনতে হবে এয়ারপোর্টে। ৩৭০ জন হলেও আমাদের ৪১৯ জনের কমার্শিয়াল ফ্লাইট আছে। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেব। তবে চাইনিজদের সময় নির্ধারণ করে দেবে। তাই ডেট দিলেই আমরা ফ্লাইট পাঠাবো।’

বিষয়টি কি চীনাদের ওপর নির্ভর করছে, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওদের ওপরই নির্ভর করছে। তবে এটুকু বলি যে, কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী তারা আবার বলেছে আসবে না। ১৫ জন শিক্ষার্থী বলছে যে, তারা দেশে এসে অসুস্থ হলে অমঙ্গল করবেন। তাই তারা দেশে আসতে চান না। তবে এখন পর্যন্ত ৩৭০ জন আসতে আগ্রহী।’

৩৭০ জন আসলে তো অসুখ-বিসুখের আশঙ্কাটা থেকে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। ওরা আসলে ওদের আমরা আলাদাভাবে রাখবো এবং অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করবো।’

বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন আইল্যান্ডে তাদের রাখার ব্যবস্থা করছে, এ বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘আমাদের তো সে ব্যব্স্থা নেই। তবে আমরা হাসপাতালে রাখবো। কোনো হাসপাতালে রাখার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। আনার দায়িত্ব আমাদের। আনার পর দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’

Advertisement

ঝুঁকি থাকবে কি-না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকি তৈরির সম্ভাবনা তো আছেই। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের কেউই এখনও এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত ৩৭০ জনের তালিকা পাওয়া গেছে। তাবে এটা আরও বাড়তে পারে।’

চীন ভ্রমণে কিংবা চীন থেকে কেউ আসতে চাইলে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেইনি। তবে চীন থেকে কেউ আসতে চাইলে তাদের নাম-ঠিকানা নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখবো। যাতে কোনো অসুখ হলে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। আমরা এখনও ফ্লাইট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেইনি।’

এমইউএইচ/এমএসএইচ/পিআর