দেশজুড়ে

থার্মাল স্ক্যানার নেই, থার্মোমিটারেই কাজ চলছে আখাউড়া বন্দরে

চীনে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস এখন বাংলাদেশের জন্যও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। ইতোমধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ বন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়নি। ফলে সঠিকভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।

Advertisement

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য মেডিকেল ডেস্ক বসানো হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবনের সামনে বসানো এই মেডিকেল ডেস্কে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য শুধুমাত্র থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ রয়েছে। তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মূলত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই মেশিনটি না থাকায় মেডিকেল ডেস্কটি খুব একটা কাজে আসছে না।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, দিন যত যাচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় এটির সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী কোনো যাত্রীর মাধ্যমে যেন এই ভাইরাস আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অথচ বন্দরের মেডিকেল ডেস্কে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাই নেই। থার্মোমিটার দিয়ে কীভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে? দ্রুত থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মেডিকেল ডেস্কে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গোকুল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে আমাদের। মূলত এই বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী কোনো যাত্রী যদি সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করে থাকেন এবং তার যদি সর্দি-কাশি থাকে তাহলে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোনো যাত্রীর সন্ধান পাইনি।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আমাদের থার্মাল স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদেরকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/জেআইএম